কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপড়নে লাখ লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ছবি: ফোকাস বাংলা

উপদেষ্টা কমিটিতে রাখাইনের প্রতিনিধি রাখেনি মিয়ানমার

জাহিদুল ইসলাম জন
জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৫৭
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:৫৭

(প্রিয়.কম) শান্তি ফেরাতে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী রাখাইন উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে মিয়ানমার। দশ সদস্যের এই কমিটিতে পাঁচ বিদেশিকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও রাখাইনের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

রোহিঙ্গা মুসলিম ও স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে রাখাইনে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলে আসছে। গত ২৫ আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে নিপীড়ন শুরু করলে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে তারা। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংগঠনগুলো বলছে, ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

রাখাইনের পরিস্থিতি উত্তরণে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করে মিয়ানমার। ‘আনান কমিশন’ নামে পরিচিত এই কমিশন বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে গত আগস্টে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। বৈশ্বিক চাপ সত্বেও এ সব সুপারিশ বাস্তবায়নে অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছে মিয়ানমার সরকার।

এমন পরিস্থিতে গত শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াও আনান কমিশনের সুপারিশ করা রাখাইন উপদেষ্টা কমিটির নাম অনুমোদন করেন। কমিটিতে পাঁচ বিদেশির মধ্যে রয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও এশিয়া পিস এন্ড রিকনসিলেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুরাকিয়াট সাথিরাথাই, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও দেশটির জাতিবিদ্বেষ নিরসনের মধ্যস্থতাকারী রোয়েলোপ পেট্রার মেয়ার, নিউ মেক্সিকোর সাবেক গভর্নর ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জ্বালানি সচিব বিল রিচার্ডসন, সুইডেনের সংসদ সদস্য আরবান আহলিন।

আর কিমিটির বাকি সদস্যরা মিয়ানমারের নাগরিক। তাদের মধ্যে রয়েছেন- দেশটির মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতিসংঘের সাবেক একজন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, আসিয়ানের মানবাধিকার বিষয়ক একটি কমিশনের এক সদস্য ও অধস্তন আদালতের এক আইনজীবী।

তবে নবগঠিত এই উপদেষ্টা কমিটিতে রাখাইনের কোনো প্রতিনিধি না থাকায় তা সমালোচনার মুখে পড়েছে। ইয়াঙ্গুন ভিত্তিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক উ মং মং সোয়ে আরাকানের মতামত তুলে ধরার মতো কেউ কমিটিতে না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘খুশি হতাম যদি সরকার তাদের কাউকে এই কমিটিতে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানাতেন। রাখাইন ইস্যুকে মোকাবেলা করতে হলে স্থানীয়দের মতামতকে আপনি কেনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবেন না।’

আনান কমিশনের সুপারিশ করা রাখাইন বিষয়ক একটি প্রায়োগিক কমিশন গত সেপ্টেম্বরেই গঠন করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। তখন বলা হয়, তাদের সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হবে। আর এরই ধারাবাহিকতায় এই নতুন এ কমিটি গঠন করা হলো। 

প্রিয় সংবাদ/শান্ত