কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মোস্তাফা জব্বার । ফাইল ছবি/ ছবি: রাকিব হাসান

‘অ্যাকশন’ নিতে শুরু করেছেন মোস্তাফা জব্বার

রাকিবুল হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৪৬
আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৪৬

(প্রিয়.কম) চলতি মাসের ৩ জানুয়ারি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আইসিটি সেক্টরে দুর্নীতি ও অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন তিনি। আইসিটি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রী আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন সংক্রান্ত তথ্য, টেন্ডার সংক্রান্ত তথ্য। এছাড়া প্রকল্পগুলোতে কতটি টেন্ডার জমা পড়েছিল এবং টেন্ডারে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো কেন টেন্ডার পায়নি -এ সংক্রান্ত তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, সম্প্রতি শেষ হওয়া আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘমেয়েদী একটি প্রকল্পের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিজ কার্যালয়ে ডেকেছিলেন মন্ত্রী। সেসময়ে প্রকল্পটির দায়িত্বে থাকা এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তার (মোস্তাফা জব্বার) কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। 

এ বিষয়ে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আমি কেবল খোঁজ নিচ্ছি। আমার তথ্যাদি জোগাড় হচ্ছে। আমি এখনই ভালোমন্দ কোনোটাই বলতে পারবো না।’

‘আগে যখন দেখছি তখন বাইরে থেকে দেখেছি। এখন দেখতেছি ভেতর থেকে। দ্যাটস ভেরি ইমপর্টেন্ট (এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ),’ বলেন মন্ত্রী। 

কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে কিনা -এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি এখন অ্যাকশন (ব্যবস্থা) নিচ্ছি। আমি যা নিচ্ছি তা পাবলিকলি (প্রকাশ্যে) বলতে পারবো, কোনো সমস্যা নেই। না বুঝে, না শুনে বলাটা ঠিক না।’ 

এর আগে মন্ত্রী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেছিলেন, টেলিকমের ভেতরে ক্যান্সারের মতন সমস্যা। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর গত ১৮ দিনে এই সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা -এমন প্রশ্নের উত্তরে জব্বার বলেন, ‘এগুলো বলার সময় হয়নি এখনো। আমি যখন বলবো তখন সবাইকে ডেকে এনে বলবো।’ 

'আমার ক্যান্সারের মন্তব্যটি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ওপর ছিল যেটিকে গুছিয়ে লেখা হয়নি। আমি বলবো না বিকৃত করা হয়েছে। একটি সংস্থাকে পেয়েছি যে সংস্থার কম্পিউটার বানানোর কথা। সেই সংস্থা সম্পর্কে আগেই ইনফরমেশন ছিল, তাই আগেই বলছিলাম। সেখানে ৩৪০ জন লোক দীর্ঘ আট মাস যাবত বিনা কাজে বেতন পায়।  আমি কোনো প্রতিষ্ঠানকেই এই অবস্থায় পাবো তা আশা করি নাই। কবে প্রোডাক্ট আসবে তাও তারা জানতো না। ওরা কমার্শিয়ালি রান (বাণিজ্যিকভাবে চলা) করার কথা, প্রোডাক্ট নিয়ে আসার কথা। প্রতিষ্ঠানটি লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। বাঁচাবো কেমনে, দ্যাটস ইট,' যোগ করেন মন্ত্রী। 

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী আরও বলেন, ‘চেষ্টা করতেছি, নিজের হাতে যে সুযোগ আছে সেটিও কাজে লাগায়নি। এই জায়গাগুলোকে যাতে সোজা করা যায়। যাতে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হতে পারে।’ 

প্রিয় টেক