সাব্বির রহমান ও মুশফিকুর রহিম। ছবি: সংগৃহীত
ভালই হলো মুশফিক-মুমিনুল-সাব্বিরদের ব্যাটিং অনুশীলন
আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:৫১
(প্রিয়.কম) আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম টেস্ট দিয়ে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজে মাঠে নামার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নেমেছে মুশফিকুর রহিমের দল। প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমদিন ব্যাটিং অনুশীলনটা বেশ ভালোভাবেই সেরে নিয়েছেন মুশফিক-মুমিনুল-সাব্বিররা।
বৃহস্পতিবার বেনোনির উইলোমোর পার্ক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক ও সাব্বির রহমান। তাদের হাফ সেঞ্চুরিতে সাত উইকেটে ৩০৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছে মুশফিকের দল। ৬৫.৪ ওভার ব্যাটিং করার পর ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। জবাবে ৫.৩ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ২১ রানের সংগ্রহ পেয়েছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশ।
সৌম্য সরকারকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ব্যক্তিগত পাঁচ রানে ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন বাঁ-হাতি এই ওপেনার। তামিম মাঠ ছাড়লেও রানের চাকা সচল রাখেন সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস। সৌম্য ৪৩ ও ইমরুল ৩৪ রান করে আউট হন।
সৌম্য-ইমরুল ফিরে গেলে দলের হাল ধরেন মুমিনুল হক। তাকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক মুশফিক। এসময় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক-মুমিনুল দু'জনই। ৫৩ বলে সাত চারে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুমিনুল। আউট হওয়ার আগে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান। মুশফিক আউট হয়ছেন ব্যক্তিগত ৬৩ রানে। এর আগে ৭১ বলে ছয় চারে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন কুমার দাস আউট হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর রানের চাকা সচল রাখেন সাব্বির রহমান। ৭১ বলে নয় চারে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিষ্ট। শেষ পর্যন্ত ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তাসকিন আহমেদ অপরাজিত থাকেন ব্যক্তিগত চার রানে। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান।
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশের পক্ষে একাই চার উইকেট দখল করেন মাইকেল কোহেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মিগায়েল প্রিটোরিয়াস, শন ভন বাঁর্গ ও টিলাদি বোকাকো।