কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

(বামে) যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী তিন সন্তানের জননী ৪৬ বছর বয়সী ডোনা কর্ডেনের মাংসখেকো জীবাণুর হাতে আক্রান্ত হওয়ার আগের ছবি, (ডানে) আক্রান্ত হওয়ার পরের ছবি।  ছবি: পিএ রিয়েল লাইফ থেকে সংগৃহীত।

এই মায়ের অর্ধেক মুখ খেয়ে ফেলেছে মাংসখেকো জীবাণু 

তাশফিন ত্রপা
ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:১৩
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:১৩

(প্রিয়.কমতিন সন্তানের জননী ৪৬ বছর বয়সী ডোনা কর্ডেন। যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী এই নারী অন্য আর সবার মতো বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন। অন্যসব সাধারণ দিনের মত ঐ দিনও তিনি রান্নাঘরে খাবার তৈরি করছিলেন। আর সেইদিনি তার জীবনের সেই মহা প্রলয়কারী দুর্ঘটনাটির সূত্রপাত ঘটে। মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়ার কবলে পড়ে তার সুন্দর মুখের এক অংশ চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়। সেইদিন তিনি  রান্নাঘর থেকে বের হওয়ার পর হঠাৎ করে তার বাম চোখের চারপাশে এক কালো দাগের আবির্ভাব হয়। প্রথমে তিনি এই দাগকে একদমই পাত্তা দিতে চাননি। কিন্তু সেই দাগ খুব দ্রুত বিশাল আকার ধারন করে। কিছু সময় পর উনার বাম চোখ থেকে ক্রমাগত রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে।

এরপর খুব শিগগির ঐ নারীর মুখের বামপাশে এক বিকট আকার ধারন করে, তিনি প্রায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মায়ের এই ভয়াবহ অবস্থা দেখে ডোনার কন্যা জেইদ স্টামমারস (২৪), মাকে অ্যাম্বুল্যন্সে করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঐ সময় ডোনারের এতই ভয়ংকর অবস্থা হয়ে উঠেছিলো যে, ডাক্তারদের পক্ষে তাকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছিলো। কারণ মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া ডোনার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশের অনেকখানি খেয়ে ফেলেছে। তবে অনেক চেষ্টা এবং রহমতের ফলে চার দিন কোমায় থাকার পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ২০১৭ সালের এই ভয়াবহ মাংসখেকো জীবাণুর হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে পারায় তিনি তার জীবন নিয়ে এখন অনেকটা সুস্থতা অনুভব করছেন।

সূত্র: ডেইলি মেইল

প্রিয় জটিল/গোরা