কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় বৃহস্পতিবার মহাষ্টমীতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা

‘মোর দ্যান পোপ’ ও আমাদের চিন্তা বৈকল্য

কাকন রেজা
সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:২৪
আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:২৪

(প্রিয়.কম) সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক কাকন রেজা নিয়মিত বিভিন্ন সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে প্রিয়.কম-এ লিখছেন। আজ থাকছে তার এই সপ্তাহের লেখা।  

এক. 

বরগুনায় দুর্গা প্রতিমা ভাঙ্গা হয়েছে রাতের অন্ধকারে দুষ্কর্মটি ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা আরও কটি জায়গায় এমন দুষ্কর্মের সংবাদ পাওয়া গেছে প্রতিবছরেই দুর্গাপূজার প্রারম্ভে এমনটি ঘটে, যার মূল শুরুটা সম্ভবত ঊনসত্তরপরবর্তীতে এবং তা সময়ের সাথে ক্রমবর্ধমানএহেন কর্মের পরপরই বিভিন্ন জন বিভিন্ন তত্ত্ব হাজির করেন, চলে বক্তব্য বিবৃতিবাজীএসববাজীতে সম্ভাব্য জড়িতদেরও নিজ নিজ কৌণিক ব্যাখ্যায় চিহ্নিত করে দেওয়া হয়, সাথে কারণ হিসাবে প্রাধান্য পায় ধর্মীয় উন্মাদনাকিন্তু মুশকিলের ব্যাপার হলো এসববাজী পরেও এমন দুষ্কর্মের কমতি হয় না, রোধ হয় নাস্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, ঘটনার ‘কার্য-কারণনির্ণয়ের সঠিকত্ব নিয়েসমস্যা বা তার সমন্বিত দিকগুলো চিহ্নিত করা হলো সমাধানের প্রধানতম কাজ। তা না হলে তো সমাধানের আশাও বৃথা।

কথায় কথায় শুনি, এমন দুষ্কর্মের সাথে জড়িতদের কাঠোর শাস্তি দেয়া হবে কিন্তু জড়িতদের আদৌ শাস্তি হয়েছে, এমন খবর খুব একটা চোখে পড়ে কি? যখন অপরাধের কারণ অচিহ্নিত রয়ে যায়, তখন অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ এবং শাস্তি প্রদান অত্যন্ত দুরূহ একটি কাজ আর এই কাজটির দুরূহতার কারণেই হয়তো শাস্তির কোনো খবর আমাদের কানে আসে না প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন চিহ্নিত করা যায় না? এর উত্তরটি দুরূহ না হলেও, প্রদানের প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত দুরূহ আর এই দুরূহতাই বাঁচিয়ে দেয় দুষ্কৃতিকারীদের আর দুষ্কর্মের কারণে আঘাতপ্রাপ্তরা মানসিকভাবে হতাশ হয়, ক্ষুব্ধ হয় 

দুই.

সংখ্যা বিচারে কমএমন মানুষদের উৎসবের আগে মূর্তি ভাঙার মতো দুষ্কর্ম মানে উৎসবে বাঁধা দেয়া, পালনে নিরুৎসাহিত করা যা অত্যন্ত গর্হিত কিন্তু এই নিরুৎসাহিতকরণেরকারককারা? প্রচলিত কথায়, অজ্ঞতা ও ধর্মান্ধতা এর কারণ কিন্তুকারককী শুধু অজ্ঞ আর ধর্মান্ধরা? লজিকের ভাষায়, কার্য-কারণ পরস্পর অবিচ্ছেদ্য সুতরাং দুষ্কর্মের যেমনকারণআছে, তেমনি এর পেছনেকারকও রয়েছে এই কারকরাই কিছু মানুষের অজ্ঞতাকে পুঁজি করে ধর্মান্ধতাকে উস্কে দিচ্ছে প্রশ্ন করতে পারেন কীভাবে? উত্তরে বলি, ‘মোর দ্যান পোপএই কথাটি নিশ্চয়ই আপনার জানা আছেমোর দ্যান পোপমানেথার্ড পার্টি অর্থাৎ যারা হিন্দুর চেয়ে বেশি হিন্দুকিংবা মুসলমানদের চেয়ে বড় মুসলিমসাজতে চান এমন ব্যক্তিগণ এরাই কারক

আমাদের পূর্ব-পুরুষদের সময়ও দুর্গাপূজা হয়েছে, উৎসব হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের ধর্মাচরণ পালন করেছেন বাধাহীনভাবে মুসলমানরা হয়ত তাদের পূজামণ্ডপে যাননি, দশমীর আচারে অংশগ্রহণ করেননি কিন্তু বাধা দেওয়ার চিন্তাও করেননিযার যার ধর্ম, তার তার কাছেইসলামের এই বাণীতে তারা তাদের মতো রয়েছেন কিন্তু ঝামেলা বাধল ওইমোর দ্যান পোপদের কারণে তারা বলতে শুরু করলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার শুধু বলেই ক্ষান্ত না হয়ে ধর্ম আর উৎসব মিলিয়ে ককটেল বানিয়ে ফেললেন আমাদের পূর্ব-পুরুষদের সময়েও ছেলেমেয়েরা পূজার মেলায় যেত, মাটির খেলনা, তৈজসপত্র কিনত, যাত্রা, ঘোড়দৌড় দেখত, সেটা ছিল উৎসব কিন্তু একালেরমোর দ্যান পোপরা কী করলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের দশমীর সিঁদুর বিষয়ক ধর্মীয় আচারটিকে উৎসব বানিয়ে ফেললেন এবং এখানেই ক্ষ্যান্ত দিলেন না, সে উৎসবে অন্যদের সামিল করার চেষ্টা করলেন আর যারা সামিল হতে চাইলেন না, তাদের আনকালচারড, রেডিক্যালের মতো আপত্তিকর উপাধিতে ভূষিত করলেন বিপত্তির শুরু এইখানটাতেই গেল হোলি উৎসবে কী হলো, ‘থার্ড পার্টির এই অতিগতিশীলেরা হিন্দু সম্প্রদায়েরআবির খেলার মতো পূর্ণত ধর্মীয় বিষয়টিকে উৎসবে পরিণত করতে চাইলেন, সার্বজনীন করতে চাইলেন, অথচ যা হবার নয়, উচিত নয় অনুচিত ওই কাজের ফল তো হাতেনাতেই ফললো

যাদের ধর্মীয় উৎসব তাদের পালন করতে দিন, আপনার দায়িত্ব হলো তারা তা যেন নিরাপদে, নির্ভয়ে করতে পারেন, সে সিকে খেয়াল রাখা কিন্তু এই দায়িত্ব পালন না করে আপনি হচ্ছেনথার্ড পার্টি আপনি নিজেমোর দ্যান পোপসেজে আসল কাজ বাদ দিয়ে নিজে অংশ নিচ্ছেন অন্যের ধর্মীয় আচারে এতেও অসুবিধা ছিল না যদি আপনি নিজের লেজটার সাথে অন্যেরটাও না কাটতে চাইতেন মানে যা করছেন তা করতে পাশের বাড়ির লোকটাকেও প্ররোচিত না করতেন আপনার প্ররোচণায় সাড়া না দিলে তাকে আখ্যায়িত না করতেন অশিক্ষিত, বর্বর, প্রতিক্রিয়াশীল, সংস্কৃতিহীন বলে একবার নয়, আপনার সাথে যারা সাড়া না দিচ্ছেন তাদের বারবার এভাবে বিরক্ত করছেন, হেনস্তা করছেন একবার কী ভেবে দেখেছেন, যাকে এভাবে বিরক্ত করছেন, হেনস্তা করছেন, শিক্ষা-জ্ঞানে-গরিমায় ছোট করতে চাইছেন, সে মনে মনে কী ভাবছেন? জানেন তো বিরক্ত মানুষ চরম পর্যায়ে ভয়ংকর হয়

ক্রমাগত বিরক্ত হয়ে উঠা একজন মানুষ বিরক্তির পুষে রাখা ক্ষোভের প্রকাশটা কিন্তু আপনার ওপর ঘটাবে না, যেহেতু আপনি অপেক্ষাকৃত শক্তিমান, মজা নেওয়ার ক্ষেত্রে যেমন কিছু লোক জুটে যায়, আপনার জুটে গিয়েছে তেমনি কিছু মজারু সে অর্থে আপনার একটি শক্তি বলয় তৈরি হয়েছেমজারুরা একত্রিত হয়ে শজারুতে পরিণত হয়েছেন, কিছু বলতে গেলেই কাঁটার ভয় সুতরাং বিরক্ত মানুষটি তার ক্রোধ উগরাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বলদের ওপর আর দুর্বল কারা তা তো আপনার ভালোই জানা, কারণ দুর্বল বলতে বলতে তাদের মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলার কাজটা আপনি ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছেন

এই দুর্বল করা এবং দুর্বলদের ওপর ক্রোধ উগরানোর দায়টা কিন্তু আপনি এড়াতে পারবেন না, লজিক্যালি সম্ভবও নয় সুতরাং যার উৎসব তাকেই করতে দিন, আপনার ইচ্ছে হলে অংশগ্রহণ করুন কিন্তু অন্যকে টানতে যাবেন না, বিরক্ত করবেন না দেখবেন এতে হিংসার মাত্রাটা সহনীয় পর্যায়ে কমে আসবে বন্ধ হবে আমি বলছি না, ‘কার্য-কারণের তো শেষ নেই কিন্তুকারককমে গেলে, ‘কারণআরকার্যও কমে যাবে এটা নিশ্চিত

তিন.

থার্ডপার্টির কাণ্ডটা আরেকটু বলে নিই ধরুন রবীন্দ্রনাথের কথা, সবাই কি রবীন্দ্রনাথকে একদৃষ্টিতে দেখেন? দেখেন না। আপনি যদি সাহিত্যের মানুষ হন, রবি ঠাকুর আপনার জন্য। গান করেন, আপনার জন্যও রবি ঠাকুর। কিন্তু আমাদের দেশের ছাপোষা আমজনতার জন্য রবি ঠাকুরকে কম্বলচারি করা কেন!

ভাষা বাংলা হলেও, কলকাতা আর ঢাকা তো এক জিনিস নয়। বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গও এক দেশ নয়। ধর্মীয় কারণে রবি ঠাকুর পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ মানুষের জীবনাচরণে অত্যাবশ্যকীয়। তারা সাহিত্য-সংস্কৃতি না বুঝলেও তাদের ঠাকুর ঘরের সঙ্গীতে রবি ঠাকুর অবিচ্ছেদ্য কিন্তু আমাদের তো ঠাকুর ঘর নেই, আমাদের প্রার্থনায় সঙ্গীতের কোনো জায়গা নেই। আমাদের আমজনতার সাথে সঙ্গীতের সম্পর্ক আনন্দ কিংবা বিষাদ আস্বাদনের। সেটা রবি ঠাকুরের গানেও হতে পারে, পারে মমতাজের গানেও। এটা নির্ভর করে আস্বাদনের রুচিভেদের ওপর। আমার এ কথায় নাক সিটকানোর কিছু নেই, উত্তেজিত হবারও নেই। যারা রবি ঠাকুর শুনেন না শাহ আব্দুল করিম শুনেন, তাদের কী আপনি বাদ দেবেন, নাকি এখানেও বর্ণাশ্রম টানবেন! যারা রবি শ্রেণি তারা কালচারড’, আব্দুল করিমরা এগ্রিকালচারড’!

অবশ্য এক্ষেত্রেও কেউ কেউমোর দ্যান পোপহয়ে যান, রবীন্দ্র সঙ্গীতকে এবাদতে সামিল করেন বিপত্তির যায়গাটা এখানেও মানুষ বিরক্ত হয়, আপনি না বুঝলেও বিরক্তিটা সত্যি বলতে পারেন, অনেক ধর্মেই তো সঙ্গীত আনুষঙ্গ কথাটি মিথ্যা নয় কিন্তু আপনি অন্য ধর্মের সম্মানেসঙ্গীত অনুষঙ্গএমন বিষয়টিকে মেনে নিতে চাচ্ছেন আপত্তি নেই, কিন্তু আপনার নিজ ধর্ম সঙ্গীতকে তার অনুষঙ্গ মানে না, নিজ ধর্মের সত্যকে অসম্মান করছেন কোন যুক্তিতে! আপনি যদি কথিত নিরপেক্ষথার্ড পার্টিহোন, তাহলে তো আপনার সব বিশ্বাসকেই সম্মান করতে হয়, না হয় অসম্মান, নাকি? আপনার এহেন প্রশ্নবোধক কর্মের কারণেই ক্ষোভের শিকার হয়সংখ্যায় কমমানুষেরা, আপনারই ভাষায় দুর্বল মানুষেরা

চার.

দেশে একটি ক্রাইসিস চলছে মিয়ানমারের থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের আসছেন জীবন বাঁচানোর তাগিদে বিপন্ন মানুষকে সাহায্য করা পরম ধর্ম কিন্তু কাউকে কাউকে দেখলাম, মূর্তি ভাঙার বিষয়টিকে সামনে এনে রোহিঙ্গাদের প্রতি যারা সমব্যথী তাদের ক্রিটিক করছেন বলছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কেঁদে অশ্রু ফুরিয়েছে দেশেরসংখ্যালঘুদের (সংখ্যালঘু শব্দটা অত্যন্ত আপত্তিকর, মানুষ কীভাবে সংখ্যালঘু হয়!) জন্য কাঁদার মতো অশ্রু আর নেই হাজার হাজার মানুষের বিভৎস মৃত্যু, নারীদের পৈশাচিক ধর্ষণ, এমনকি শিশু হত্যার মতো কর্মকাণ্ডকে যারা তুলনায় আনেন এবং ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করেন, তাদের সাথে উগ্রপন্থীদের পার্থক্যটা কী, তারা তো সেই উগ্রবাদের গুপ্তবইয়েরই পাঠক জীবিত মানুষের চেয়ে যাদের কাছে মাটির প্রতিমার মূল্য বেশি হয়ে দাঁড়ায় তাদের মতো ঘৃণাজীবীমোর দ্যান পোপদের আর কী-ইবা বলা যায়! 

এই মোর দ্যান পোপদের জন্যই বৌদ্ধরা আজ তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করা থেকে বিরত থাকছেন, তারা ফানুস উড়াচ্ছেন না। কেনো উড়াবেন না তারা! ফানুস তো উড়ানো হয় মানুষের মঙ্গল কামনায়। মানুষের মঙ্গল কামনা কেন করবেন না তারা! আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তবে বৌদ্ধ ধর্মমতে মৃতদের আত্মার মঙ্গল ও শান্তি কামনায় ফানুস উড়ানো হয় হাজার হাজার নিহত রোহিঙ্গার মঙ্গল কামনাও তো মিশে থাকতে পারে ওই আকাশমুখী ফানুসে

কেউ কেউ দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা কমিয়ে রোহিঙ্গাদের সাহায্যের কথা বলছেন এবং যথারীতি এটাতেওবাহবাদেওয়া হচ্ছে হিন্দু ধর্মে দুর্গাপূজা হয় অসুর বিনাশে, সুচি ও তার সেনাবাহিনী কীঅসুরের প্রতিভূ নয়? তবেঅসুরবিনাশে কেনো কাটছাঁট? না কি এতে করে সুক্ষ্মভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা, অন্যরা মুসলমানদের চেয়ে ভালো; কারণ মুসলমানা বন্যার সময় বন্যার্তদের সাহায্যার্থে কোরবানি বাদ না দিয়ে মনের আনন্দে গরুর গোশত খেয়েছে, এমন প্রশ্নগুলোও নিশ্চিত চিন্তার দাবি রাখে

আমরা মুসলিমরা ঈদ পালন করেছি ঈদের জামাতে কায়মনোবাক্যে চোখের অশ্রু ফেলে আল্লাহ দরবারেরোহিঙ্গাদের জন্য রহমত কামনা করেছি আরমজলুমের জন্য দোয়াএটাই ইসলামের মূল সুর সে অনুযায়ী বৌদ্ধরা কেন তাদের ধর্মীয় উৎসব কাটছাঁট করবে, কেন পালন করবে না, কেন মঙ্গল কামনায় ফানুস উড়াবে না!

এর জন্যও দায়ী সেইথার্ড পার্টি’, ‘অতিগতিশীলেরা ধর্মীয় উৎসব পালনের এমন অনুচিত সিদ্ধান্তে যারা বাহবা দিয়ে উঠলেন, বললেন, সাধু সাধু! কিন্তু একবারও কী তারা ভেবে দেখলেন, প্রতিমা ভাঙা হচ্ছে দেখে অহেতুক অন্যের মানবিকতা নিয়ে কটাক্ষ করছি, ঘৃণা ছড়াচ্ছি, অথচ বৌদ্ধদের উৎসব না পালনের সিদ্ধান্তকে বাহবা জানাচ্ছি! বৈপরীত্য আর কাকে বলে একবারও তারা ভাবলেন না, এই উৎসব না পালনের সিদ্ধান্তটি কী সহমর্মিতা, ভয় না নার্ভাস রিয়েকশন! বিচিত্র এইসবঅতিগতিশীলতথাথার্ড পার্টির কারবার 

সর্বশেষ

আমরা যারা মুসলিম, যারা কিছুটা হলেও বুঝি ইসলামকে, তারা বলি, হিন্দু বা বৌদ্ধ বা অন্যকোনো সম্প্রদায় আপনারা নির্বিঘ্নে আপনাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করুন, আনন্দ করুন, কারও কথায় মাতবেন না আমরা ইসলামে বিশ্বাস করি, সেই ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে, আপনাদের ধর্মে হস্তক্ষেপ না করতে ইসলাম পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, ‘যার যার ধর্ম, তার তার কাছে এর বাইরে যদি কেউ কোনো কথা বললে, তা যদি আপনাদের জন্য সহানুভূতিপূর্ণও হয়, তাও বুঝবেনডাল মে কুচ কালা হ্যায় অতএবঅতি গতিশীল’ ‘থার্ড পার্টিথেকে সাবধান

[প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। প্রিয়.কম লেখকের মতাদর্শ ও লেখার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত মতামতের সঙ্গে প্রিয়.কম-এর সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে।]