মিয়ানমারে সেনা নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গারা। ফাইল ছবি
ভেসে এল আরও ৩ রোহিঙ্গা নারীর অর্ধগলিত মরদেহ
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৭, ১২:০১
(প্রিয়.কম) কক্সবাজারের টেকনাফে জোয়ারের সঙ্গে ভেসে এসেছে আরও তিন রোহিঙ্গা নারীর অর্ধগলিত মরদেহ। ১৪ অক্টোবর শনিবার রাত ১০টার দিকে টেকনাফ সাবরাংয়ের খুরেরমুখ এলাকা থেকে মরদেহগুলি উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুদ্দিন খান বলেন, নিহতদের বয়স আনুমানিক ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ৮ অক্টোবর রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট বুধবার রাতে নাফ নদীতে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় ১৯ নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর ৩০ আগস্ট বুধবার ভোরেও নাফ নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। তখন চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
গত ০৩ সেপ্টেম্বর রোববার টেকনাফের নাফ নদী থেকে গুলিবিদ্ধ নারী-শিশুসহ ০৭ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ০৬ সেপ্টেম্বর বুধবার বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর মোহনায় রোহিঙ্গাদের ১১টি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফের সমুদ্র উপকূলে রোহিঙ্গাবাহী আরও দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় ০৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টা থেকে সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে টেকনাফের বিভিন্ন উপকূল থেকে নারী-শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নাফ নদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবে যায়। এ ঘটনায় ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে পাঁচ শিশু ও দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়া সমুদ্র উপকূলে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় ১৪ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির এ ঘটনায় ৬০ জনেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় গত ৮ অক্টোবর রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফসংলগ্ন উত্তাল সাগরে প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা ডুবে যায়। এ ঘটনায় ১১টি মরদেহ ও আট রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আরও অন্তত ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেন উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা।
প্রিয় সংবাদ/শিরিন