কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

১৫৭ রানেই থামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ছবি: প্রিয়.কম

অস্ট্রেলিয়ার সামনে ‘মামুলি’ লক্ষ্য

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:৩৬
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:৩৬

(প্রিয়.কম) চট্টগ্রাম টেস্টে ৭২ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ৫০ রানের আগেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান ও নাসির হোসেন। টপ অর্ডারের এমন ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে অস্ট্রেলিয়া।

অবশ্য এই ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং সাব্বির রহমান। কিন্তু খুব বেশি দূর যাওয়া হল না বাংলাদেশের। ১৫৭ রানেই থেমেছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮৬ রান। সফরকারীদের সামনে রয়েছে এখনও পুরো এক দিনের বেশি সময়। অর্থ্যাৎ, চারটি সেশন। সে হিসেবে বলাই যায়, অস্ট্রেলিয়া ব্যাটসম্যানদের জন্য লক্ষ্যটা মামুলি! 

আগের দিনের সংগ্রহ নয় উইকেটে ৩৭৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই অলআউট হয়ে যায় অজিরা। সেই ৭২ রানের লিডই সম্বল হয় স্টিভেন স্মিথের দলের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাগরিকায় শুরু হয় যেন আসা-যাওয়ার মিছিল। সেই মিছিলের প্রথম যাত্রী ওপেনার সৌম্য সরকার। প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও ব্যর্থ তিনি। প্যাট কামিন্সের বলে আউট হওয়ার আগে সৌম্য করেন ৯ রান।

সৌম্যর বিদায়ের পর ক্রিজে তামিমের সঙ্গে যোগ দেন ইমরুল কায়েস। মিরপুর টেস্টের দুই ইনিংসেই হাফ সেঞ্চুরি করা তামিম চট্টগ্রামের দুই ইনিংসেই ব্যর্থতার পরিচয় দেন। নাথান লায়নের করা ১৩তম ওভারের শেষ বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে বড় শট খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন তামিম। এর কিছুক্ষণ পর ফের বাংলাদেশ শিবিরে হানা দেন লায়ন। এবার তার শিকার ১৫ রান করা ইমরুল।

লায়নের করা ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়ার্নারকে ক্যাচ দিয়ে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তিন নম্বরে মুমিনুল হকের জায়গায় এদিন নেমেছেন নাসির হোসেন। ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের জন্যই হয়তো এটা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে সেই টোটকা কাজে লাগেনি। স্টিভ ও’কিফের করা ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে ধরা পড়েন পাঁচ রান করা নাসির।

দলীয় ৪৩ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে অথৈ সাগরে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে মুশফিক-সাব্বিরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। তবে লাঞ্চের পর লায়নের নিচু হওয়া বল এগিয়ে গিয়ে খেলার চেষ্টা করা সাব্বির স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টায় এ দু'জন গড়েন ৫৪ রানের জুটি। কিন্তু সাব্বিরের বিদায়ে সেই চাপের মুখেই থাকে বাংলাদেশ।

এরপর মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিক। কিন্তু ইনিংসের ৫৩ তম ওভারে মুশফিক অজি পেসার কামিন্সের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হলে হারের শঙ্কা চেপে ধরে বাংলাদেশকে। আউট হওয়ার আগে মুশফিক দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন। স্কোরবোর্ডে আর ৩০ রান যোগ করতে ফিরে যান মুমিনুলও (২৯)। শেষদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ-তাইজুল ইসলামদের ব্যাটে ১৫৭ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন মাত্র ৮৬ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নাথান লায়ন এই ইনিংসে তুলে নেন ছয় উইকেট। আগের ইনিংসে ডানহাতি এই স্পিনারের ঝুলিতে জমা পড়েছে সাত উইকেট। এছাড়া পেসার কামিন্স ও স্পিনার স্টিভ ও'কিফ নেন দুটি করে উইকেট।

প্রিয় স্পোর্টস/শান্ত মাহমুদ