কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিমানবন্দরে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মেজর জেনারেল অং সয়ি আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে স্বাগত জানান। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর: কতটুকু সফল হবেন তিনি?

আবু আজাদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:২৭
আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:২৭

(প্রিয়.কম) মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে পড়া চরম সংকটের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বর্তমানে দেশটি সফর করছেন। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, সফরে মিয়ানমারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই সংকট কাটিয়ে উঠার একটা উপায় বের করা সম্ভব হবে।

এর আগে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির মন্ত্রী কিউ টিন্ট সোয়ে যখন ঢাকায় আসেন, তখনই বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের মিয়ানমারে সফরের বিষয়টি উঠে আসে। চলতি বছরের ২৫ অগাস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর এই প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটিতে গেলেন।

২৩ অক্টোবর সোমবার দুপুরে মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কবে, কীভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে তিনি মিয়ানমারের সরকারের সাথে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘যারা মিয়ানমারের অধিবাসী তারা এখানে বাধ্য হয়েই চলে এসেছে। তাদেরকে কীভাবে ফেরত নেবে, কবে নেবে সেটাও আমি বলব। তা ছাড়া কফি আনান যে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে যে পাঁচটা পয়েন্ট তুলে ধরেছিলেন সেটা আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমাধান করা যায় কিনা, সেটা নিয়ে কাজ করব।

মন্ত্রী জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ নাফ নদীর সীমানা চিহ্নিতকরণ, সীমান্তের লিয়াজোঁ অফিস ছাড়াও নিরাপত্তার ঝুঁকিজনিত নানা দিক মিয়ানমারের কাছে তুলে ধরা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চিন্তিত না হলেও দুই দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একটা সংলাপ হতে পারে।

কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে কতটা সমাধান আশা করা যায়? এ প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক রোজানা রশিদ বলেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক ইতিহাস ইতিবাচক কোনো ইঙ্গিত দেয় না।

রোজানা রশিদ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যেটা তারা বলছে, সেটা তারা বিশ্বাস করে না এবং করবেও না। আন্তর্জাতিক মহলের চাপও তারা উপেক্ষা করতে পারে। তাদের যে রাজনৈতিক কালচার (সংস্কৃতি) এবং কূটনৈতিক কালচার তাতে করে মনে হয় না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুব একটা সফল হবেন।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, রোহিঙ্গা সংকট অনেক বেশি রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কারণ। আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক অনেক রাষ্ট্র এখানে জড়িত। সুতরাং দুই দেশ চাইলেই যে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে, সেটা খুব একটা সহজ হবে না

এদিকে সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামল নেপিদো বিমানবন্দরে অবতরণ করলে মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মেজর জেনারেল অং সয়ি। 

সূত্র: বিবিসি বাংলা

প্রিয় সংবাদ/শান্ত