কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অ্যাজুর'র লোগো

দেশীয় ডেভলপারদের সাশ্রয়ী ও নিরাপদ ক্লাউড সেবা দেবে মাইক্রোসফট

প্রিয় টেক
লেখক
প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৫৭
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৫৭

(প্রিয়.কম) বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এবং স্মার্টআপগুলোর জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং এখন নিত্য-প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। বিশ্বব্যাপি ক্লাউড প্রযুক্তির প্রবৃদ্ধি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এক সমীক্ষা অনুযায়ী চলতি বছরের শেষ প্রান্তিক পর্যন্ত ক্লাউড কম্পিউটিং-এর বাণিজ্যিক ব্যবহার থেকে বার্ষিক আয় ১৮.৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ‘অ্যাজুর ডিসকভার ডে’ আয়োজন করেছে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ। দেশের ডেভলপারদের অংশগ্রহণে মাইক্রোসফট আলোচনা করেছে অ্যাজুরের সম্ভাবনা নিয়ে। 

জানা যায়,যেকোনো সময়ের চেয়ে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর ক্ষেত্রে তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও গোপনীয়তা রক্ষা করার লক্ষে ক্লাউড সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ২৪/৭ কাজ করে। গোপনীয়তা সংক্রান্ত কৌশলগত শর্ত অনুযায়ী, ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে নিরাপদ ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মের নিশ্চয়তা দিচ্ছে মাইক্রোসফট। 

এ ছাড়া ব্যক্তিগত কিংবা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অ্যাজুরে নিবন্ধন করে প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে মাইক্রোসফটে। অ্যাজুরের সেবার মধ্যে রয়েছে ভার্চুয়াল মেশিন, অ্যাপ সার্ভিস, এসকিউএল, ডাটাবেজ, স্টোরেজ, ক্লাউড সার্ভিস, অ্যাজুর কসমস ডিবি, অ্যাজুর অ্যাকটিভ ডিরেক্টরি, ব্যাকআপ, অ্যাজুর ডিএনএস, ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক, ষ্ট্রিম অ্যানালিটিক্সসহ আরো অনেক কিছু।  

সেই সঙ্গে অ্যাজুরের মাধ্যমে, যে কেউ পে-এজ-ইউ-গো বা যতক্ষণ ব্যবহার ততখানি খরচ পদ্ধতিতে আনলিমিটেড সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবে। মাইক্রোসফটের ডাটাসেন্টার ও সার্ভারের সঙ্গে উক্ত সেবাটি কৌশলগতভাবে সংযুক্ত। এছাড়া নিজস্ব ডাটাসেন্টারেও অ্যাজুর স্ট্যাক ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

‘অ্যাজুর ডিসকভারি ডে’ উদযাপনকালে মাত্র দুটি ধাপ অনুসরণ করে একজন ব্যবহারকারী অ্যাজুর সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। প্রথমেই ব্যবহারকারী কিংবা প্রতিষ্ঠানকে এক বা ততোধিক অ্যাজুর স্ট্যাক ক্রয় করতে হবে। পরের ধাপে সিস্টেমটিকে নিজস্ব ডাটাসেন্টারের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এভাবে ব্যবহারকারীরা সহজেই নিজেদের সার্ভারে অ্যাজুর স্ট্যাক ব্যবহার করতে পারবে। অ্যাজুর স্ট্যাক প্ল্যাটফর্মে যতখানি কম্পিউটিং ক্যাপাসিটি ব্যবহার হবে ঠিক ততখানি অর্থ পরিশোধ করতে হবে ব্যবহারকারীকে।  

এসব বিষয়ে মাইক্রোসফট এর পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর ব্যবহার ও ব্যবহারের আগ্রহ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছোট থেকে মাঝারি দেশীয় ও বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ডেভেলপারদের ক্লাউড সেবার ব্যবহার উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা গুরুত্ব বহন করে। যতক্ষণ ব্যবহার ততখানি খরচ পদ্ধতির কারণে মাইক্রোসফট অ্যাজুরের জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহারকারীরা ক্লাউড সেবা গ্রহণে বেশি খরচ করে থাকে, সেখানে কম খরচে নিরাপদ সেবা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছে মাইক্রোসফট অ্যাজুর।   

প্রিয় টেক/রাকিব