বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প স্থাপনের সম্ভাব্যতা নিয়ে সান হোজেতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কনফারেন্স
আমেরিকায় বাংলাদেশের মেধাবী মানুষ: মোহাম্মদ কায়কোবাদ
আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ২২:৩৬
আমার জীবনের বেশিরভাগ ভ্রমণই হয়েছে আমার মেধাবী ছাত্রদের কেন্দ্র করে, তাদের সুবাধে। এবারের ভ্রমণ মিলওয়াকি শহরের মার্কেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইকবাল আহামেদের সৌজন্যে। দীর্ঘদিন ইউবিকুইটাস কম্পিউটিং নিয়ে গবেষণা করছে। মোবাইলের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার প্রকল্প বাংলাদেশ পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেছে, উপাত্ত সংগ্রহের স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশকে। এর ফলে আমাদের ছাত্রদেরও সুবিধা হচ্ছে। অধ্যাপক ইকবালের সুবাধে মার্কেটে বাংলাদেশের একটি দ্বীপ তৈরি হয়েছে, যেমনটি করেছে অস্ট্রেলিয়ার অধ্যাপক মঞ্জুর মুর্শেদ এবং আমেরিকার নানা শহরে লব্ধপ্রতিষ্ঠ বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা।
বে এরিয়াতে কর্মরত আমাদের স্নাতকেরা
এবার ৪ ডিসেম্বরের ফ্লাইট ধরার আগের সময় এত ব্যস্ততায় কেটেছে যে ফ্লাইট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের কোনো সময় ছিল না। অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছলাম এবং চেক-ইনের সম্ভাব্য ঝামেলা থেকেও রেহাই পেলাম। দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর তাত্বিকভাবে দুই ঘণ্টা সময় হাতে পাওয়ার কথা কিন্তু ২০ মিনিটের ব্যবধানে উপর্যুপরি দুই বার আরবি প্রহরীরা দৈবচয়নের ভিত্তিতে আমার ৬৩ বছরি দেহের ওপর যখন তল্লাশি চালাল, তখন তাদের মনে করিয়ে দিলাম যে, ফিরতি ভ্রমণেও দৈবচয়নে আমাকেই তল্লাশি করা হবে। শিকাগোর ও হারে বিমানবন্দরে অবশ্য কোনো অসুবিধা হলো না। শিকাগো শহরে আসলে মন গর্বে ভরে যায়- বিশ্বখ্যাত স্থাপত্যবিদ ড. এফ আর খানের জন্য এবং তার নানারকম স্বীকৃতির জন্য। মন বিষন্নতায় ভরে যায় স্থাপত্যের আইনস্টাইনখ্যাত এই মেধাবী মানুষের জন্য বাংলাদেশে প্রায় কিছুই নেই বলে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া আরভাইনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্ররা
ছাত্রদের জন্য আমি সময় ও শ্রম যতটুকু দিয়েছি তা যে কতগুণে ফেরত আসছে, তা বলে বোঝানো যাবে না। বিদেশ বিভূঁইয়ে যেখানেই যাই ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও আমার সঙ্গে দেখা করা, দর্শনীয় স্থানে নিয়ে যাওয়া, এমআইটি’র মতো দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার আয়োজন করা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এবার আমার ভ্রমণ শুরু হলো প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূল দিয়ে আমেরিকার পশ্চিম পাশে। পৌঁছলাম ক্যালিফোর্নিয়ার সবচেয়ে ধনী অরেঞ্জ কাউন্টির সবচেয়ে বড় শহর সান্টা আনার জন ওয়েন বিমানবন্দরে, অবাক হলাম মাত্র এক ডলার পার্কিং ফি’র কথা শুনে। আমাদের স্নাতক জার্মানীতে ডিগ্রি করা ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক অপেক্ষা করছিল। এই মেধাবী মানুষটিকে চিনতেই পারতাম না, যদি কিছুদিন আগে আমাদের বিভাগে সে এসে সেমিনার না দিত। কী তার বাচনভঙ্গী, আস্থা এবং তার গবেষণার বিষয়! ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারের শব্দ থেকে প্রোগ্রাম পুনর্নির্মাণ করা তার গবেষণার বিষয়। আবার ডিজিটাল টুইন অভিধারণাকে এগিয়ে দিচ্ছে। ডিজিটাল টুইন হলো একটি বাস্তব সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ডিজিটাল সিস্টেম। ডিজিটাল সিস্টেমের সিমুলেশন থেকে বাস্তব সিস্টেমের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ সমস্যা অনুমান করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে। আমাদের মেধাবী স্নাতক ও ফুলব্রাইট স্কলার ড. সারওয়ার পরিবারের বাসা হয়ে অত্যন্ত কেয়ারিং অদিতি এবং ড. ফারুকের বাসায় রাত্রিযাপন করলাম।
ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের পথে ড. ফারুকের টানানো ছবি
সকালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া আরভাইনের ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনে প্রবেশের পথেই ড. ফারুকের বিশাল ছবি- গবেষণার জন্য সে উপর্যুপরি সম্মাননা পাচ্ছে। আমি ছবির সঙ্গে একটি ছবি তুলে গর্বিত হলাম। রাস্তায় ডঃ ফারুকের একাধিক পরিচিত অধ্যাপকের সঙ্গে সাক্ষাৎ, সবাই তাকে স্টার প্রফেসর বলে সম্বোধন করল। সকল ক্ষেত্রেই স্টার পাওয়া যায়, যেমন সাহিত্যে, কলায়, নৃত্যে, সঙ্গীতে, খেলাধূলায়, মুস্টিযুদ্ধে। কিন্তু পড়ালেখা, গবেষণায়ও যে স্টার স্বীকৃতি জোটে এই প্রথম দেখলাম। এরপর একটি সেমিনারে বক্তব্য দিলাম। আগের থেকেই ঠিক ছিল চার জন প্রবীণ অধ্যাপকের সঙ্গে আমার কথা হবে আধ ঘণ্টা করে। প্রত্যেকেই বাংলাদেশের ছাত্রদের ভূয়সী প্রশংসা করল, বিশেষ করে ড. ফারুক যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন এবং ভাবমূর্তি তৈরিতে প্রশংসনীয় অবদান রাখছে তা প্রত্যেকেই বললেন। এবার পাঁচ জন ছাত্রকে ভর্তি করা হয়েছে ভবিষ্যতে আরও বেশি বাংলাদেশি ছাত্রকে তারা ভর্তি করতে চান। সন্ধ্যায় সান হোজের উদ্দেশে রওনা। প্রতিবারের মতোই চৌকষ ড. ফারিবা বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার করে মুহূর্তের মধ্যে ড. মোস্তফা পাটোয়ারীর বাসায় নিয়ে গেল।
ড. ফারুকের বাসায় ড. সাবের ও ড. সারওয়ারসহ আমরা।
সেখানে আমাদের মেধাবী স্নাতকদের সঙ্গে দেখা হলো দু’যুগ আগের সহকর্মী কাজী হাসানের সঙ্গে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে তার বাসায় রাত্রিযাপন শেষে সকালে গেলাম ডিবিএল গ্রুপের কর্ণধার জব্বার সাহেবের উদ্যোগে আয়োজিত প্রবাসীদের কনফারেন্সে; যেখানে বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প স্থাপনের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হবে। দেশ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম এবং অধ্যাপক হারুন-উর রশীদ এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক রেজোয়ান খান এসেছেন। আমাদের স্নাতকেরা অনেকে স্বনামধন্য হয়েছেন আই ইইই’র ফেলো হয়েছেন, উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন, গবেষক হিসেবে লব্ধপ্রতিষ্ঠ হয়েছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। ভারতের মতো এখনও আমরা তার উল্ল্যেখযোগ্য সুফল না পেলেও কমপক্ষে পরিসংখ্যান তত্ত্বের সুবাধে শিগগিরই একটি ব্রেকথ্রো হবে বলে আশা করছি। তারপর ফারিবার সুবাধে আবার সিএসই বিভাগের এলামনাইদের ডিনারে যোগদান করলাম। আমাদের বদরুল মুনির সারওয়ার লিঙ্কডইনের মেশিন লার্নিং বিজ্ঞানী। যার রিকমেন্ডেশন এলগরিদমের একটি পেপারের উদ্ধৃতি হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৭৩৬ বার। সম্ভবত কেবলমাত্র প্রিন্সটন অধ্যাপক জাহিদ হাসানের একই পেপারে উদ্ধৃতির সংখ্যা বেশি ৮ হাজার ৮৯৭ বার। প্রচারবিমুখ মুনির টেস্ট অব টাইম পুরস্কারও জিতেছে, যা অনেক স্বনামধন্য বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন।
এম আইটিতে সেমিনারের পরে শামা ইয়াজদির বাসায়
৯ তারিখ রাতে সিয়াটলের উদ্দেশে যাত্রা। আমার বুদ্ধিমত্তা এতই কম যে আমাকে স্বাগত জানাতে যারা আসে, তারা ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে যায় আমাকে খুঁজে পেতে। তাই সিয়াটলে মহাবুদ্ধিমান পাপ্পানাকে বলতেই সে আমাকে জানালো সে খুঁজে বের করবে। পাপ্পানার সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা হলো, যা সত্যই আমার বন্ধ জ্ঞানচক্ষু কিছুটা হলেও খুলে দিলো। পরেরদিন ফারাহ পরিবারের বাসায় সারাদিন কাটালাম। ব্রাঞ্চ দিয়ে শুরু তারপর লাঞ্চ, তারপর ডিনার এবং ফাঁকে ফাঁকে বিস্তর খাবার। একহাতে এত কাজ কীভাবে করা যায়, তা আবার শ্রেয়তরের বিপরীত-অর্ধেক ফেরদৌস জানাল যে এত বুদ্ধির মানুষের পক্ষে মাত্র একটি কাজ করা মেধার প্রতি রীতিমতো অবিচার। তাই একহাতে চৌদ্দ কাজ করে ফারাহ এবং তার মান হয় সকলকে পেছনে ফেলে এইচএসসি পরীক্ষার মেধা তালিকায় প্রথম হওয়ার মতোই। মাইক্রোসফটের কাজের ফাঁকে দুপুরে লাঞ্চের উদ্দেশ্যে সবাই জমায়েত। মাইক্রোসফট রিসার্চের স্বনামখ্যাত বিজ্ঞানী ড. সুমন কুমার নাথ, ড. শামসী তামারা ইকবাল, মাইক্রোসফটের ড. সুকান্ত প্রামাণিক, দিলশাদ, সাইফুরসহ অনেকেই এই আড্ডাগুলোতে উপস্থতি থেকেছে। পাপ্পানা প্রথমে দ্রুত অগ্রসরমান আমাজনে নিয়ে গেল যেখানে আমাদের স্নাতক কামরুল ইসলাম টিপু কাজ করে। তারপর বোয়িংয়ের কারখানা দেখাল, সাথে রানওয়ে। যেসকল দেশে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ রয়েছে, তাদের পতাকা শোভা পাচ্ছে লবির উপরেই। বাংলাদেশের পতাকা দেখে গর্বে বুক ভরে উঠল। ঈশ, আমাদের দেশে যদি এরকম একটি কারখানা থাকত এবং তাতে অনেক দেশের পতাকা উড়ত, বুক নিশ্চয়ই গর্বে দ্বিগুণ হতো।
খুবই খুশি হলাম জেনে যে, সিয়াটলের বাংলাদেশিরা সকলেই কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
এরপর ১১ তারিখ রাতে ৬-ঘণ্টার আকাশ ভ্রমণে রওনা হলাম বোস্টনের উদ্দেশে। যা চার্লস নদীর তীরে গড়ে উঠা বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এমআইটি এবং হার্ভার্ডের আবাসভূমি। ইফতিয়ার জাহিদ শীতবস্ত্রসহ বিমানবন্দর থেকে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে এলো। পরেরদিন সকালে দেখলাম কীভাবে একই এলাকার শিশুরা কাছের বিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছে। ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে একই বিদ্যালয়ে, কোনো গাড়ি লাগে না, যানজট সমস্যা তৈরি করে না। আমাদের দেশে আমরা যদি এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে পারতাম! ভিকারুন্নিসা কিংবা ঢাকা কলেজে আমার সন্তান ভর্তি না হোক, আরেক বাংলাদেশির সন্তান পড়তো, ভিনদেশি নাগরিকদের সন্তানতো আর পড়তো না। কেনেডির নামে করা লাইব্রেরি দেখলাম। পরিশেষে এমআইটিতে এসে আমাদের অত্যন্ত মেধাবী স্নাতক এমআইটিতে কমপক্ষে তিন তিন বার পাঁচে পাঁচ পাওয়া ছাত্রী সুমাইয়া নাজীনের সুবাধে একটি সেমিনার দেওয়ার সুযোগ ঘটল। আমাদের আরেক মেধাবী ছাত্র শামা ইয়াজদি কাজী, যে আমার প্রতি ভ্রমণেই ঠিকই আমাকে খুঁজে বের করে তার বাসায় দাওয়াত করে। শামার মেয়ে মুশীরা এবং ছেলে সামিদকে কঠিন সমস্যা সমাধান করতে দিলাম। তারা আমাকে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিলো। তাদের বিশ্লেষণী ক্ষমতা দেখে অভিভূত হয়ে গেলাম। মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশের অন্যতম শিক্ষা প্রশাসক ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস ডার্টমাউথ-এর প্রভোস্ট এবং এক্সিকিউটিভ ভাইসচ্যান্সেলর অধ্যাপক আতাউল করিম সস্ত্রীক এসেছেন। এই গুণী মানুষটির ব্যস্ততার কমতি নেই কিন্তু এর মধ্যে সকল দায়িত্ব সুচারুরূপে সম্পন্ন করেন, এমনকি এই জমায়েতেও এসেছেন। আমাদের দেশে আইসিসিআইটি নামের কম্পিউটারের যে কনফারেন্স হয়, দীর্ঘদিন নিরলসভাবে তার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন নিভৃতে। এ ছাড়া বাংলাদেশে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তার নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে। তানভীরের বাসায় রাত্রিযাপন করে এর পরদিন নিউইয়র্ক হয়ে মিলওয়াকিতে ফিরে আসা। সাতদিন সময়ের মধ্যে পশ্চিম, পূর্ব মহাসাগরীয় সীমানা এবং মধ্য আমেরিকা ভ্রমণ। বোর্ডিং গেটসমূহে সর্বদাই ঘোষণা প্রথম উঠবে সেনা, বিমান, নৌবাহিনীর সদস্যরা। যার যে গুরুত্ব যে দেশে!
ভারতে প্রবাসী ভারতীয়দের সহায়তায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। আইআইটি কানপুরে স্ট্যানফোর্ড অধ্যাপক রাজীব মতোয়ানির নামে সিএসই ভবন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা অধ্যাপকদের নিয়মিতভাবে সম্মানজনক চেয়ারে অধিষ্ঠিত করা হয়, যেসকল এলামনাই আর্থিক সহায়তা দান করে থাকে- তাদের নামে ভবনগুলোর নামকরণ করা হয়। গোটা আমেরিকায়ও এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ল্যাব, ভবনসমূহের নামকরণ করা হচ্ছে। আমাদের দেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এরকমটি দেখা যায় না। সীমিত সম্পদের দেশে সকল সম্ভাবনাই কাজে লাগানো প্রয়োজন। আশা করি, একদিন আমরা সঠিক পথে চলব এবং শুধুমাত্র সুবিধাবঞ্চিত অদক্ষ অশিক্ষিত মানুষের শ্রমে নয়। সুবিধালব্ধ, শিক্ষিত ও মেধাবী মানুষের সুবাধেও দেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।
[প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। প্রিয়.কম লেখকের মতাদর্শ ও লেখার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত মতামতের সঙ্গে প্রিয়.কম-এর সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে।]