কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১২২ রান যোগ করেন মুমিনুল হক ও লেন্ডল সিমন্স। ছবি: প্রিয়.কম

মাশরাফির দলের টানা দুই হার

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৪৬
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৪৬

(প্রিয়.কম) রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে জয় দিয়েই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসর শুরু করেছিল রংপুর রাইডার্স। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের সঙ্গী হয় পরাজয়। সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ১১ রানে হারে দলটি। তৃতীয় ম্যাচে সেই রাজশাহীর বিপক্ষেই হারল রংপুর। শনিবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা পর্বের প্রথম ম্যাচে রংপুরকে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রাজশাহী।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৩৪ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর রাইডার্স। জবাবে ২০ বল ও আট উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী কিংস। ইনজুরির কারণে এদিন দলে ছিলেন না রাজশাহীর নিয়মিত অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। তার পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন রাজশাহীর দুই ওপেনার মুমিনুল হক এবং লেন্ডল সিমন্স। উদ্বোধনী জুটিতে দু'জন মিলে গড়েন ১২২ রান। যা এবারের আসরে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। এই জুটি গড়ার পথেই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান মুমিনুল-সিমন্স দু'জনই। ৫০ বলে চারটি চার ও এক ছয়ে ৫৩ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন সিমন্স। পাঁচ রানের ব্যবধানে ম্যালকম ওয়ালারকে ফেরান লঙ্কান পেসার থিসারা পেরেরা।

সিমন্স-ওয়ালার ফিরে গেলেও উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রাখেন মুমিনুল হক। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান। ৪৪ বলে চার চার ও তিন ছয়ে ৬৩ রানের ওই ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। এ ছাড়া চার বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন রনি তালুকদার। রংপুরের পক্ষে একমাত্র পেরেরা ছাড়া উইকেটের দেখা পাননি কোনও বোলার।  

এর আগে বল হাতেও রাজত্ব করেন রাজশাহীর বোলাররা। প্রথম ওভারেই রংপুরের ওপেনার জনসন চার্লসকে ফেরান স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। লেগ স্টাম্পে পিচ করা মিরাজের তৃতীয় বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে ওয়াইড লং অনে ম্যালকম ওয়ালারের হাতে ক্যাচ দেন ডানহাতি এই ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যান। দলীয় ৩২ রানে ফরহাদ রেজার বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন আরেক ওপেনার অ্যাডাম লিথ। আউট হওয়ার আগে চার রান করেন রংপুরের এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। মাত্র এক রানের ব্যবধানে ফিরে যান মোহাম্মদ মিথুনও। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে মুমিনুল হকের তালুবন্দী হন ১৫ বলে দুই চার ও এক ছয়ে ১৮ রান করা মিথুন।

এরপর দলের হাল ধরেন শাহরিয়ার নাফিস ও রবি বোপারা। সিঙ্গেল-ডাবলসে জোর দিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে দু’জন মিলে যোগ করেন ৪৯ রান। নাফিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কেসরিক উইলিয়ামস। ৩১ বলে দুই চারে ২৩ রান করে ওয়ালারের তালুবন্দী হন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দলীয় রান ১০০ পেরোনোর আগেই পঞ্চম উইকেটটি হারায় রংপুর। দলীয় ৯৪ রানে জেমস ফ্রাঙ্কলিনের বলে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দেন থিসারা পেরেরা।

ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যাট হাতে একপ্রান্ত আগলে রাখেন ইনিংস অলরাউন্ডার বোপারা। ৪৯ বলে তিন চার ও দুই ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া জিয়াউর রহমান অপরাজিত থাকেন ১১ রানে। এই দু’জনের ৪০ রানের জুটিতে ১৩০ পেরোয় রংপুরের সংগ্রহ। একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ, জেমস ফ্রাঙ্কলিন ও কেসরিক উইলিয়ামস। সর্বোচ্চ দুই উইকেট নিয়েছেন ফরহাদ রেজা।