জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ। ছবি: প্রিয়.কম
জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ
আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:৫৭
(প্রিয়.কম) জয়পুরহাট জেলায় এই প্রথম বড় পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছেন কালাই উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের সমন্তাহার গ্রামের রওশন জামিল। তিনি নিজস্ব উদ্যোগে এক হেক্টর (৭.৫ বিঘা) বন্যামুক্ত উঁচু জমিতে উন্নত জাতের বিদেশি মাল্টা ফলের চাষ শুরু করছেন।
তার নিবেদিত সততা আর প্ররিশ্রমের প্রতিফলন সুরভিত হয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কাঙ্খিত মাল্টা ফল গাছে গাছে বাতাসে দুলবে।
সরেজমিনে গিয়ে ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কালাই সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে তেলাল এলাকার ভাসিলা-পুরানো গোপীনাথপুর রাস্তার পাশে সমন্তাহার গ্রাম। সেই গ্রামের আদর্শ কৃষক রওশন জামিল ‘মনোয়ারা রাজিব এগ্রো ফার্ম’ নামে তার ফল বাগানে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে নতুন উদ্ভাবিত ‘বারী মাল্টা-১’ মাল্টা ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন। ওই বাগানে গত জানুয়ারি মাসে প্রায় ৫শ’ গাছ রোপণ করেন তিনি। বাগানে উৎপাদিত ফল আগামী জুন মাসের মধ্যে বিক্রির জন্য সংগ্রহ করা যাবে।
রওশন জামিলের মাল্টার বাগান এক নজর দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই আসেন। ছবি: প্রিয়.কম
রওশন জামিলের মাল্টার বাগান এক নজর দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষক, বৃক্ষপ্রেমী, ফল চাষি ও বাগান মালিকেরা আসেন। তিনি প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আমার এই বাগানে প্রতিদিন সাত জন কর্মচারী কাজ করে। আশা করি কাঙ্খিত মাল্টা ফল ধরা শুরু হলে এলাকাতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।’
তেলাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর কবির বলেন, এই এলাকাতে কৃষকেরা ধান ও আলুর আবাদ করতে বেশি অগ্রহী। ধান ও আলুর চাষাবাদ ছাড়াও অনেক ধরনের ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে আধিক লাভবান হওয়া যায়। সেই চেষ্টা থেকে আমরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে মাল্টার বাগানের মাধ্যমে এলাকায় একটি আধুনিক ফলবাগান সৃষ্টি চেষ্টা করছি।
এটা সফলভাবে করতে পারলে এলাকার সকল কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রিয় সংবাদ/শিরিন