কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অামরণ অনশন ভেঙেছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা। ছবি: শামীম আহমেদ

অনশন ভাঙলেন মাদ্রাসাশিক্ষকরা 

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৭:২৬
আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৭:২৬

(প্রিয়.কম) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জাতীয়করণ করার দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় অনশন ভেঙেছেন নিবন্ধিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা।

১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে শিক্ষকরা অনশন ভাঙেন।

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক সমিতির মহাসচিব মোখলেছুর রহমান প্রিয়.কমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

চলতি মাসের ১ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধিত ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকম সাড়া না পেয়ে ৯ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা। আমরণ অনশনের অষ্টম দিনে শিক্ষামন্ত্রী দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে শিক্ষকরা অনশন ভাঙেন।

অনশন ভাঙা প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক সমিতির মহাসচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘‘১৬ জানুয়ারি দুপুুর ১২টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কার্যালয়ে তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘...দাবি-দাওয়াগুলো প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে একটু সময় লাগবে। শিক্ষকরা কষ্ট করছে, তাদেরকে আর কষ্ট করতে দিয়েন না। আমি সচিব পাঠিয়ে দিচ্ছি, তাদেরকে অনশন ভাঙতে বলেন।’’’

এর পর দুপুর ২টার দিকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর হোসেন প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের কাছে এসে অনশন ভাঙান।

মহাসচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘মো. আলমগীর হোসেন এসে আমাদের বলেন, তাদের কাছে এখন কোনো সঠিক তথ্য-উপাত্ত নাই। সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে। সরকার ওই তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করবে।’

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমীন চৌধুরী জানান, ১৬ জানুয়ারি অনশনের অষ্টম দিনে ১৭৭ জন অসুস্থ আছেন। এদের মধ্যে ৩ জন আছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। আন্দোলনরত অবস্থায় ২০ জনকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়। বাকিরা অসুস্থ অবস্থাতেই আন্দোলন করে আসছিলেন। 

মহাসচিব মোখলেছুর রহমান জানান, অসুস্থ শিক্ষকদের দায়িত্ব সমিতি নেবে। সমিতির দায়িত্বে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

এর আগে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, ১৯৯৪ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা করা হয়। এর পর বিভিন্ন সরকার ধাপে ধাপে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে। সেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মাসে ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেতন পান। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইবতেদায়ি শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন পান না।

শিক্ষকরা আরো জানান, ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসার শিক্ষক নামমাত্র বেতন পান। এসব মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা ২ হাজার ৩০০ টাকা বেতন পান। এই বেতন দুর্মূল্যের বাজারে অমানবিক, শিক্ষকদের অবমাননা ছাড়া কিছুই না।

প্রিয় সংবাদ/ আ ই