কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লালমনিরহাটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি সড়ক। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটে বন্যায় ৮০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

আসাদুজ্জামান সাজু
কন্ট্রিবিউটর, লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৩২
আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৩২

(প্রিয়.কম) দুই বারের বন্যায় লালমনিরহাটের ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ প্রায় আট শত কোটি টাকা। অবকাঠামো ক্ষয়-ক্ষতির পাশাপাশি সেতু, কালভার্ট, রাস্তাঘাট, খামার ও ফসলের ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী গড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেব মোড় এলাকার সাবেক ইউ-পি সদস্য জাকির হোসেন জানান, এবারেই স্মরণ কালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে লালমনিরহাটে। দুই দফার বন্যায় ভেঙ্গে গেছে ঘরবাড়ী, স্কুল কলেজ, রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্টসহ অনেক স্থাপনা। ফসলি জমি তলিয়ে আছে। এখনো বেশিরভাগ এলাকায় সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি।

জেলার ক্ষতিগ্রস্থ দপ্তরগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় লালমনিরহাট এলজিইডি’র আওতায় ১৮৪ কিলোমিটার সড়কপথ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে ৫৩টি সেতু কালভার্ট। আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ১৬৫ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপদের জাতীয় মহাসড়কের ৪০ কিলোমিটারে ক্ষতির পরিমাণ ৫৩ কোটি টাকা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিনটি বাঁধের ২ কিলোমিটার বিলীন ও তিনটি বাঁধের ১০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হয়েছে ১৯৪ কোটি টাকা।

Flood-affacted-in-lalmonirhat

বন্যায় লালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় উপজেলায় একটি সড়ক ভেঙ্গে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

কৃষি বিভাগের ৩১ হাজার ১৩৫ হেক্টর রোপা আমন ও ২৬৫ হেক্টর সবজি তলিয়ে গেছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮৫ কোটি টাকা।

লালমনিরহাট রেলওয়ে সুত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট রেল বিভাগের আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ ১শ ৪০ কিলোমিটার রেলপথের নয়টি পয়েন্টে টেকসই মেরামতে প্রয়োজন ৭২ কোটি টাকা।

এ ছাড়াও ৭৭০২ টি পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে মৎস্য বিভাগের ক্ষয়ক্ষতি ১১ কোটি টাকা, ৬৫ হাজার হাস-মুরগি, গরু-ছাগল বন্যা আক্রান্ত ও ১৬ টি খামার বিনষ্ট হয়ে প্রাণী সম্পদ বিভাগের ক্ষতির পরিমাণ ৭৮ লাখ এবং বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, কমিউনিটি ক্লিনিক ভেঙ্গে গিয়ে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান নিরুপণ করে মেরামত ও পুর্ণবাসনে বরাদ্দের জন্য উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা পাঠানো হয়েছে।

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন জানান, বন্যায় প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে পুর্ণবাসন করা হবে। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল