কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লেকহেড গ্রামার স্কুলের ফাইল ছবি

৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকছে লেকহেড গ্রামার স্কুল

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:১৬
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:১৬

(প্রিয়.কম) লেকহেড গ্রামার স্কুলের গুলশান ও ধানমন্ডির দুটি শাখার শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধই থাকছে। ওই দিন পুনরায় শুনানির পর স্কুল খোলার বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন। 

১৯ নভেম্বর রোববার সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাবের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আদেশে বলা হয়, হাইকোর্টের আদেশ হাতে পাওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে হবে।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার আক্তার ইমাম, আব্দুল বাসেত মজুমদার, আব্দুল মতিন খসরু। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলম। 

সকালে আদালত সবার পর অ্যাটর্নি জেনারেল স্কুলটি বন্ধ করার যুক্তি হিসেবে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

শুনানিতে আদালতে রিটপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ১১শ’ বাচ্চা এখানে পড়ালেখা করে। বাচ্চাদের স্কুলটি খুলে দেওয়া হোক। পরে আদালত ১০ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন এবং ৩০ নভেম্বর আবার শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে বুধবার দুপুরে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

গত ৬ নভেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্রবাদী সংগঠন সৃষ্টি, জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতাসহ নান অভিযোগে লেকহেড স্কুলের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সালমা জাহানের সই করা চিঠিতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারের অনুমোদন নেয়নি।

পরদিন স্কুলের দুটি শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ৯ নভেম্বর লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য মালিক খালেদ হাসান মতিন ও ১২ শিক্ষার্থীর অভিভাবক এক রিট আবেদন করেন। ১৪ নভেম্বর এর শুনানি শেষে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলটির বন্ধ করে দেওয়া দুটি শাখা খুলে দিতে সরকারের প্রতি নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ এবং বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

প্রিয় সংবাদ/রিমন