ছবি সংগৃহীত
তথ্য-প্রমাণের ঘাটতি দূর করার চেষ্টায় সিআইডি- দৈনিক কালের কণ্ঠ
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৭, ২২:৫৪
ফাইল ছবি
(প্রিয়.কম) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও এ-সংক্রান্ত মামলার তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৬ কর্মকর্তাসহ ১১ দেশের ৭৭ নাগরিক এবং পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে অবশ্য তিনজনের কেবল দায়িত্ব পালনে অবহেলা ধরা পড়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট বিদেশিদের বিষয়ে এখনো বিস্তারিত তথ্য পাননি তদন্তকারীরা। এ ছাড়া বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উপস্থাপন বা তাদের গ্রেপ্তার করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলেনি। এসব কারণেই রিজার্ভ চুরি-সংক্রান্ত মামলার তদন্ত শেষ করতে পারছে না সিআইডি। তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২৭ মার্চ সোমবার ‘তথ্য-প্রমাণের ঘাটতি দূর করার চেষ্টায় সিআইডি’ শিরোনামে দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এক সংবাদে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কর্মকর্তাদের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ মিলেছে তাঁরা মূলত ওই অর্থ চুরি করতে বিদেশিদের সহায়তা করেছেন। তথ্য-প্রমাণের অপ্রতুলতার সুযোগ নিয়ে তাঁরা যাতে শাস্তি এড়াতে না পারেন সে জন্য আরো প্রমাণ জোগাড় করছেন তদন্তকারীরা। সিআইডির তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পর্যাপ্ত প্রমাণ হাতে পাওয়ার পরই তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্ট দেশকে চিঠি দিয়েছে সিআইডি। সম্প্রতি বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের পুলিশ প্রধানদের কনফারেন্সে শ্রীলঙ্কাসহ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের কাছে এ বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তথ্য-প্রমাণের ঘাটতি মেটাতে পারলে আগামী জুনের আগেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে চাইছে সিআইডি।
তদন্তের এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের ১৪ তলায় আগুন লাগে। এর কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ই-মেইল হ্যাকড হয়েছিল। সম্প্রতি রংপুরেও বাংলাদেশ ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ে আগুন লাগে। পূর্বাপর এসব ঘটনা মিলিয়ে অনেকেই দাবি করছেন, বৃহস্পতিবারের আগুনের ঘটনাটি পরিকল্পিত। রিজার্ভ চুরির তথ্য লোপাট করতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও তাদের ধারণা। আগুনের ঘটনায় শুক্রবার মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তদন্ত করছে ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি কমিটি।
প্রিয় সংবাদ/খোরশেদ