ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে থাকায় এভাবেই সময় কাটছে কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর ইউনিয়নের বানভাসিদের। ছবি: প্রিয়.কম
কুড়িগ্রামে বন্যায় আরও ৫ জনের মৃত্যু
আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৭, ১৩:০৬
(প্রিয়.কম) কুড়িগ্রামে বন্যায় গত পাঁচ দিনে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের বেশির ভাগই শিশু। নদ-নদীর পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, জেলার নয় উপজেলার ৮শ ২০টি গ্রামের চার লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দী জীবন-যাপন করছে। বানভানি মানুষেরা ঘর-বাড়ি ছেড়ে গবাদি পশুসহ পাকা সড়ক, উচু বাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিলেও অনেকেই বসবাস করছেন নৌকা ও কলা গাছের ভেলায়। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট।
বন্যার পানিতে ভেসে গেছে জেলার ৮ হাজার পুকুরের প্রায় ১২ কোটি টাকার মাছ। ত্রাণের নৌকা দেখে বানভাসিরা ছুটে আসলেও অনেকের ভাগ্যেই তা জুটছে না। সরকারি বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ দুর্গম চরাঞ্চলের বানভাসিদের।
সরকারিভাবে এ পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ ৫ হাজার টাকা, ৬শ ৫১ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব আতিকুল রহমান কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে ১৮ আগস্ট শুক্রবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং ২০ আগস্ট রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুড়িগ্রামের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
প্রিয় সংবাদ/কামরুল