কুড়িগ্রামের মশলার চরে পানি নেমে যাওয়ার অপেক্ষায় বানভাসী এক পরিবার। ছবি: প্রিয়.কম
কুড়িগ্রামে চরম খাদ্য সংকটে বানভাসিরা, রোববার আসছেন প্রধানমন্ত্রী
আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৭, ১৫:০৫
(প্রিয়.কম) কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি তলিয়ে থাকায় ঘরে ফিরতে পারছে না বানভাসিরা।
বন্যার পানিতে ঘর-বাড়ি ভেসে যাওয়া পরিবারগুলো সবকিছু হারিয়ে বসবাস করছে খোলা আকাশের নিচে। গত সাত দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তীব্র সংকট চলছে গো-খাদ্যেরও। ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া, অমাশয়সহ পানি বাহিত নানা রোগ।
সরকারি, বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা চললেও ৫ লক্ষাধিক বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য তা অপ্রতুল। ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ বেশিরভাগ মানুষের। ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতায় বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে জুটছে না কিছুই।
জেলা প্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য সাড়ে ৫২ লাখ টাকা, ১৫শ মেট্রিক টন চাল ও ৪ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা এখনও বিতরণ করা হচ্ছে। এদিকে বন্যা দুর্গতদের ২০ আগস্ট রোববার কুড়িগ্রামে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেলে রাজারহাটের পাঙ্গা হাইস্কুল মাঠে ত্রাণ বিতরণ করবেন তিনি।
প্রিয় সংবাদ/কামরুল