কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

উইকেট শিকারের পর আবু জায়েদ রাহির উল্লাস। ছবি: প্রিয়.কম

রাহির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুলনার টানা দ্বিতীয় জয়

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৫১
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৫১

(প্রিয়.কম) জয়ের জন্য চিটাগং ভাইকিংসের দরকার ছিল ১৭১ রান। কিন্তু এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও খেই হারিয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের দলটি। চিটাগংকে একাই পথ ভুলিয়ে দিয়েছেন খুলনা টাইটান্সের বোলার আবু জায়েদ রাহি। শফিউল ইসলাম-রাহীর বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানের বেশি করতে পারেনি মিসবাহ উল হকের দল। ফলে ১৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স। 

১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেই আবু জায়েদ রাহির তোপের মুখে পড়ে চিটাগং। নিজের প্রথম দুই ওভারেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন এই ডানহাতি। প্রথম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ফিরে যান যথক্রমে দুই ওপেনার লুক রনচি ও সৌম্য সরকার। ইনিংসের তৃতীয় ও রাহির দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে রিলে রুশোর ক্যাচে পরিণত হন দিলশান মুনাবীরা। ১৭ রানের ব্যবধানে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়ও। তাকে ফেরান কার্লোস ব্রাথওয়েট। ৩৮ রানে চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে রীতিমত ব্যাকফুটে চলে যায় চিটাগং।

সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মিসবাহ উল হক ও সিকান্দার রাজা। পঞ্চম উইকেটে দু'জন মিলে গড়েন ৫৯ রানের জুটি। ২৭ বলে তিন চার ও দুই ছয়ে ৩৭ রান করা রাজাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন পেসার শফিউল ইসলাম। দলীয় ১০০ রানের আগে পাঁচ উইকেট হারিয়ে আবারও ব্যাকফুটে চলে যায় খুলনা। নিজের তৃতীয় ওভারে আবারও আঘাত হানেন রাহি। ফিরিয়ে দেন অধিনায়ক মিসবাহ উল হককে। অফ স্টাম্পের বাইরে করা রাহীর পঞ্চম বলটি লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দী হন ৩৭ বলে দুই চারে ৩০ রান করা মিসবাহ।

১৭ বলে এক চার এবং এক ছয়ে ২২ রান করে কিছুটা লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লুইস রেস। কিন্তু তাকেও সরাসরি বোল্ড করে থামান জফরা আর্চার। এরপর উইকেট না হারালেও জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলতে পারেনি চিটাগং। ২০ ওভারে ১৫২ রানে থামে চিটাগং ভাইকিংসের ইনিংস। তানবীর হায়দার ১৪ ও সানজামুল ইসলাম ৫ রানে অপরাজিত থাকে মাঠ ছাড়েন।

খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়েছেন রাহি। চার ওভারে ৩৫ রান খরচ এই চার উইকেট তুলে নেন তিনি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কার্লোস ব্রাথওয়েট, শফিউল ইসলাম ও জফরা আর্চার।

এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা। স্কোরকার্ডে মাত্র ২৯ রান যোগ করতে ফিরে যান টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। প্রথম ওভারে ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটনকে ফেরান সানজামুল ইসলাম। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে মাইকেল ক্লিঙ্গারকে ফেরান বাঁহাতি এই স্পিনার।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন রিলে রুশো। কিন্তু সে চেষ্টাটাও সফল হয়নি! পঞ্চম ওভারে শান্তকে ফেরান দিলশান মুনাবীরা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৩৯ রান যোগ করে কিছুটা চাপ সামাল দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং রুশো। ২৫ রান করা রুশোকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। রুশো ফিরলেও আরিফুল হককে সঙ্গে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

কিন্তু তাকেও থামান তাসকিন। মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। আরিফুল হককে সাথে নিয়ে দ্রুত রান তোলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মাত্র ১৪ বলে দুই চার ও তিন ছয়ে ৩০ রান আসে ব্রাথওয়েটের ব্যাট থেকে। তাকে ফিরিয়ে খুলনার ইনিংসে লাগাম টানেন পেসার শুভাশিষ রায়। ইনিংসের শেষ বলেই আরিফুল হককে ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেট শিকারের উল্লাসে মাতেন তাসকিন। চার বলে এক চার ও এক ছয়ে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন জফরা আর্চার।