কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সমুদ্রের রাজা যেন কেয়ারী সিন্দবাদ। ছবি- কেয়ারী ট্যুরস এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড

সেন্টমার্টিনের পথে যাত্রা শুরু করেছে কেয়ারী সিন্দবাদ

খন্দকার মহিউদ্দিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৭, ২১:২৬
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭, ২১:২৬

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের কথা বলতে প্রথমেই যা মাথায় আসে তা হচ্ছে, নীল দিগন্ত বিস্তৃত সুবিশাল জলরাশি যা দিগন্তে মিলিয়েছে আকাশের নীলিমার সাথে আর তৈরি করেছে এমন এক আবহ যেখান থেকে আর পার্থক্য করা যায় না কোনটি আকাশ কোনটি সমুদ্র। এই অসাধারণ পর্যটন কেন্দ্রটি গত ছয় মাস ধরে বন্ধ ছিল পর্যটকদের জন্য। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ এর কারণে, মূলত নিরাপত্তাকে মুখ্য বিষয় হিসেব করে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল সেন্টমার্টিন যাওয়ার ক্ষেত্রে। এই নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে চলাচল করা সমুদ্রগামী জাহাজ কেয়ারী সিন্দবাদ বন্ধ ছিল।

প্রতি বছরই মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সমুদ্রের আবহাওয়া, প্রচন্ড স্রোত বিবেচনায় জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকে। পর্যটকদেরও যাওয়া মানা এসময়। এবছর রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে প্রবেশ এবং মায়ানমার সরকারের কর্তৃক সীমান্তে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টার কারণেই মূলত চালু হচ্ছিল না সমুদ্রগামী জাহাজ কেয়ারী সিন্দবাদ। 

সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত সোমবার ১৩ই নভেম্বর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কেয়ারী সিন্দবাদ ৩০০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন এর উদ্দেশ্যে আবার‌ যাত্রা শুরু করে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। তারই ফলশ্রুতিতে কেয়ারী সিন্দবাদের এ পুনঃযাত্রা শুরু হয়।

কেয়ারী ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলার্স এর ফেসবুক পেজ থেকে আমরা জানতে পারি কেয়ারী সিন্দবাদ সেন্টমার্টিনে পৌঁছাবার পর এলাকাবাসীর সবাই যেন আনন্দে মেতে উঠেছিল। তারা পর্যটকদেরকে বরণ করে নিয়েছিল ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে।

কেয়ারী
হটলাইনে ফোন করে আগেই টিকিট বুক করতে পারবেন। ছবি- কেয়ারী ট্যুরস এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড

এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, কেয়ারী সিন্দবাদ আর সেন্টমার্টিন দ্বীপের ভ্রমণ শুধু বিনোদনই নয় এর সাথে দেশের পর্যটন ব্যবস্থা, সেন্টমার্টিনে বসবাসকারীদের জীবন-জীবিকা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যার আরেকটি উদাহরণ হলো, কেয়ারী সিন্দবাদের পুনরায় সেন্টমার্টিন যাওয়ার অনুমতি পাওয়ার আর যাত্রা শুরু করার সাথে সাথে সেন্টমার্টিনের ইউএনও অফিস থেকে আরো একটি নির্দেশ জারি করা হয়। এই নির্দেশে বলা হয়, সকল আবাসিক ও অনাবাসিক হোটেলে সেবা ও খাদ্যের মূল্য তালিকা লাগাতে হবে। এখানে উল্লেখ করা যায়, কেয়ারী সিন্দবাদসহ অন্যান্য জাহাজগুলোর সেন্টমার্টিন যাত্রা বন্ধ থাকায় সেখানকার জীবন ও জীবিকা এতটাই ব্যাহত হয় যে অনেকেই এখানে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করেছিলেন।

তবে আশার বাণী হলো প্রতি বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ পর্যটন মৌসুম হিসেবে চিহ্নিত চার মাস সময়ের জন্য জাহাজগুলো চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় এবং সেন্টমার্টিনে আবারো পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হওয়ায় এই অর্থনৈতিক সংকট হয়ত খুব দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। প্রথম দিনের যাত্রায় ৩০০ জন যাত্রীর উপস্থিতি এই আশায় প্রাণের সঞ্চার করে।

সম্পাদনাঃ ড. জিনিয়া রহমান

প্রিয় ট্রাভেল সম্পর্কে আমাদের লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। যে কোনো তথ্য জানতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। ভ্রমণ বিষয়ক আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে ক্লিক করুন এই লিংকে - https://www.priyo.com/post