কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গুরমিত সিং এর কয়েদি নম্বর ‘১৯৯৭’। ছবি: সংগৃহীত

ভক্তদের সঙ্গে ‘বন্য জন্তুর মতো আচরণ’ করেছেন গুরমিত

হাসান আদিল
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০১৭, ১৬:১৮
আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০১৭, ১৬:১৮

(প্রিয়.কম) ভক্তরা গুরমিত সিংকে দেবতার আসনে বসালেও তাদের সঙ্গেই তিনি ‘বন্য জন্তুর মতো আচরণ’ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক জগদীপ সিং। ২৮ আগস্ট সোমবার সাজার রায় ঘোষণার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।  

বিচারক জগদীপ সিংহ বলেন, ‘ভক্তরা গুরমিত সিংকে দেবতার আসনে বসালেও তাদের সঙ্গেই বন্য জন্তুর মতো আচরণ করেছেন তিনি। যার মধ্যে মানবিকতার কোনো ছোঁয়া নেই, নেই দয়ামায়া বলতে কিছু, তাই সাজা মওকুফের আশা করাটা বোকামি।’

রায় পর্যালোচনায় আরও বলা হয়েছে, ‘ধর্মীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ স্থানে অলংকৃত করে ভক্তদের সঙ্গে যে ধরনের কর্মকাণ্ড তিনি করেছেন তা জঘণ্য অপরাধ। এর ফলে দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাবমূর্তিতেও ধাক্কা লাগতে বাধ্য।’

স্বঘোষিত ধর্মীয় গুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের কয়েদি নম্বর ‘১৯৯৭’। সাজা ঘোষণার পর থেকে হরিয়ানা রাজ্যর রোহতক জেলে এ সংখ্যাটিই এখন তার পরিচয়। 

দুইজন ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ২০০২ সালে হওয়া মামলায় ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে। একইসঙ্গে ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। যার বিরাট একটি অংশ পাবেন ভুক্তভোগীরা। 

সাজা ঘোষণার সময় কেঁদে দেন গুরমতি রাম রহিম সিং। ‘মুঝে মাফ কার দো’ বলে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন তিনি। কিন্তু এতে বিচারক তার অবস্থান থেকে মোটেও সরে আসেননি।  

এর আগে ২৫ আগস্ট শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেওয়া হলে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় রাম রহিম সিংয়ের ভক্তরা। এতে প্রায় ৩৬ জন নিহত হয়। আহত হয় তিনশতাধিক। সাজার রায় ঘোষণার পর হরিয়ানার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল রাজ্যটিতে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে গুলি ছোড়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল বাহিনীকে।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত