বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ছবি: প্রিয়.কম
‘এখন বলতে পারি ম্যাচটা ঐতিহাসিক ছিল’
আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০১৭, ২২:০৫
(প্রিয়.কম) এ নিয়ে ১০ম টেস্ট জয় বাংলাদেশের। বড় দল বলতে অতীতে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলংকা হারিয়েছেন মুশফিকুর রহিমরা। সেই তালিকায় যোগ হলো অস্ট্রেলিয়ার নাম। টেস্ট র্যাংকিংয়ের চার নম্বরে থাকা অজিরা নিজেদের সেরা দল নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে। এমন অবস্থায় পাওয়া জয়ের ম্যাচকে ঐতিহাসিক বলছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হয় গেল ২৭ আগস্ট থেকে। নিজের নৈপুণ্যতায় চারদিনেই ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ক মুশফিক জানান, এখন ম্যাচটিকে ঐতিহাসিক বলা যায়। কারণ এটা অনেক বড় অর্জন।
তিনি বলেন, ‘এটা তো অনেক বড় একটা অর্জন। এখন বলতে পারি এই ম্যাচটা ঐতিহাসিক ছিল। আপনারা বলছিলেন, ১১ বছর পর খেলা। কীভাবে তা ঐতিহাসিক হয়। ফলের কারণে হয়তো কোনো ম্যাচকে মনে রাখা যায়। কিন্তু এটাকে আমি অনেক বড় অর্জন বলব। সাম্প্রতিক সময়ে উপমহাদেশে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড খুব একটা ভালো না হলেও ওরা কিন্তু এখানে প্রায় সবাইকেই নিয়ে এসেছে।’
মুশফিক জানান, চতুর্থ দিনের শুরুতে অজিরাই এগিয়ে ছিল। তবে প্রতিপক্ষের দুর্বলতাও জানা ছিল বাংলাদেশের। সে কারণেই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তাদের। ফলাফল, ২০ রানে জয় তুলে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখিয়েছে সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।
তিনি বলেন, ‘আজকে ওরা একটু এগিয়ে ছিল। তারপরও উইকেটে যেমন সহায়তা ছিল স্পিনারদের জন্য, সঙ্গে ওদের ওপরের দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া বাকিদের এই উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা কমই আছে; সে বিশ্বাস আমাদের ছিল। এই জয়গুলো আমাদের মতো দলকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলে। এই ধরনের অভিজ্ঞতাগুলো সব সময়ই কাজে লাগে। আবার যখন এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়ব, আরও ভালোভাবে সামলাতে পারব আমরা।’
ম্যাচটিকে ঐতিহাসিক করার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন তামিম ও সাকিব। ব্যাট হাতে তামিম দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে ৭১ ও ৭৮ রান। অন্যদিকে, প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৮৪ রান করা সাকিব দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ রানে আউট হলেও বল হাতে প্রতি ইনিংসে পাঁচটি করে উইকেট নিয়ে গড়েছেন নতুন কীর্তি। তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার যিনি কিনা এক টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি বল হাতে ১০ উইকেট নিয়েছেন।
প্রিয় সংবাদ/শান্ত