কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এমন বিশেষ কোনো স্থান কি আপনাকেও আকর্ষণ করে? ছবি: দেয়া

এক সেকেন্ডের মাঝে আপনার মন ভালো করতে পারে এই কৌশলটি

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৭, ২১:১৫
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৭, ২১:১৫

(প্রিয়.কম) মন থাকলে মন খারাপ হবেই। মন খারাপটাকে ভালো করার জন্য আমরা সবাই কিছু না কিছু করি। কেউ একটি ভালোমন্দ খাবার খাই, রান্না করি, কেউ গান শুনি, কেউ স্মৃতির অ্যালবাম ঘাঁটি। একেক জনের জন্য একেকটা উপায় কাজ করে। শৈশবের টেডিবিয়ার কারো মন ভালো করে দেয়, অন্য কারো মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আবার বিয়ের আংটিটাই যথেষ্ট। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, আপনাকে শান্তি এবং সুখের অনুভূতি দিতে পারে একটি কাজ, আর তা হলো এমন কোনো জায়গায় কথা চিন্তা করা যার সাথে আমাদের ভালোলাগার অনুভূতি জড়িয়ে আছে। বিয়ের আংটি বা ছোটবেলার পুতুলের চাইতেও এমন প্রিয় কোনো জায়গার স্মৃতি আমাদের মন নিমিষেই ভালো করে ফেলতে পারে।

ইংল্যান্ডের সারে ইউনিভার্সিটির এই গবেষণাটি করা হয় ২০ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণকারীর ওপর। তাদের মস্তিষ্কের ওপর fMRI করা হয়। এর পাশাপাশি ২,০০০ জন মানুষের ওপর অনলাইন্স আর্ভে করা হয় যাতে বিশেষ কোনো স্থানের প্রতি আমাদের এই ভালোবাসার ব্যাপারে আরো জানা সম্ভব হয়। গবেষণার ফলাফল স্তম্ভিত করে দেয় তাদেরকে। দেখা যায়, প্রত্যেকের জীবনের এই বিশেষ স্থানটি শুধু যে মন ভালো করা তা নয়, বরং শান্তি এবং পূর্ণতার অনুভুতিও তৈরি করে আমাদের মাঝে।

‘প্রথম সারির বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের সাথে, আধুনিক fMRI প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা দেখি, কী করে বিভিন্ন স্থান মানুষকে প্রভাবিত করে, কেন মানুষের কাছে এরা প্রিয় হয়ে ওঠে এবং এসব জায়গার প্রতি তারা আকর্ষণ অনুভব করে,’ জানান এই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা নিনো স্ট্রাচি।

২০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে দেখানো হয় ল্যান্ডস্কেপ, ঘরবাড়ি এবং অন্যান্য কিছু জায়গার ছবি। এর পাশাপাশি তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিসের ছবিও দেখানো হয়। তাদের মস্তিষ্কের fMRI থেকে দেখা যায়, জিনিস নয় বরং জায়গাগুলো দেখে তাদের মস্তিষ্ক, বিশেষ করে অ্যামিগডালা অংশটি বেশি উদ্দীপ্ত হয়।

তাদের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয় দুইবার করে। একবার তাদের বাড়িতে এবং একবার সেই বিশেষ জায়গায় যা তাদের মন ভালো করে দেয়। গবেষণা থেকে জানা যায়, এই প্রিয় জায়গাটিতে থাকা অবস্থায় তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নিরাপদ হওয়ার অনুভূতি হয়। আর এই স্থানের প্রতি তাদের আকর্ষণটাও থাকে অনেক বেশি।

গবেষণায় বলা হয়, ৮৬ শতাংশ মানুষ জানান, “এই জায়গাটা আমারই একটা অংশ”। ৬০ শতাংশ বলেন “আমি এখানে নিরাপদ অনুভব করি,” আর ৭৯ শতাংশ বলেন, এই জায়গাটা তাদেরকে “চুম্বকের মত আকর্ষণ করে।”

এই গবেষণার পরামর্শদাতা অ্যান্ডি মায়ার্স জানান, এই প্রথম কোনো গবেষণার মধ্যমে শরীর ও অনুভুতির ওপর কোনো একটি জায়গার প্রভাব প্রমাণ করা গেল।

সুত্র: Reader’s Digest

প্রিয় লাইফ/ আর বি