কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এখন থেকে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সহজভাবে যাওয়া যাবে কলকাতায়।

খুলনা-কলকাতা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু

উম্মে মোনতেজামা
ফিচার রাইটার, ট্রাভেল
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:৫৯
আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:৫৯

(প্রিয়.কম) অবশেষে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে খুলনা-কলকাতা রুটে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে দুই দেশের রেল কর্মকর্তাদের মধ্যকার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

বন্ধন এক্সপ্রেস নামের এই ট্রেনটি খুলনা থেকে কলকাতা পর্যন্ত পৌনে দুইশ কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিতে সময় নিবে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা। এই রুটে উভয় দেশের প্রান্তিক স্টেশন কলকাতার চিৎপুর ও খুলনাতেই সম্পন্ন হবে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা। ফলে চেক পোস্টে আর কোনো বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না যাত্রীদের। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭ টায় কলকাতার চিৎপুর থেকে যাত্রী নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২ টায় বন্ধন পৌঁছাবে খুলনায়। এরপর দুপুর দেড়টায় খুলনা থেকে যাত্রী নিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ কলকাতায় পৌছে যাবে। প্রাথমিক প্রস্তাবে বন্ধনের চেয়ার কোচে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫০ টাকা এবং কেবিনে ৯৫০ টাকা করে সিট ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা খুলনা স্টেশন কর্মকর্তাদের নিকট দেয়া হয়েছে। 

চলতি বছরের ২৪ ও ২৫ অক্টোবর তারিখে দিল্লিতে উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের রেল কর্মকর্তাদের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। বৈঠকে অংশ নিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৩ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লি যাবেন। ভারতের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বসে ভাড়া চূড়ান্ত করবেন তারা। এর আগে ভাড়া নির্ধারণে উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যৌথ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়। এরপর গত ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী নয়াদিল্লি রেলভবনে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশের রেল কর্মকর্তাদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে তিন দফায় দিনক্ষণ নির্ধারণ করেও খুলনা-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী রেল চলাচল শুরু করা যায়নি। গত ৩ আগস্ট তৃতীয় ও সর্বশেষ দফায় ট্রেনটি চালুর উদ্যোগ নিলেও সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। 

ঢাকা-কলকাতার পর খুলনা-কলকাতা রুটে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় মৈত্রী ট্রেনটির নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছিল ‘সোনারতরী’। কিন্তু উভয় দেশের রেলে একই নাম ব্যবহৃত হওয়ায় পরবর্তীতে তা বাদ দেয়া হয়। পরে ‘সম্প্রীতি’ ও ‘বন্ধন’ নাম প্রস্তাব করা হলে ‘বন্ধন’ নামটিই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এই রুটে পরিপূর্ণভাবে ট্রেন সার্ভিস চালু করায় এই অঞ্চলের মানুষ এখন কোনোপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই সহজভাবে কলকাতায় যেতে পারবে। এতে করে বাণিজ্যিক যোগাযোগ ব্যবস্থাও সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

সম্পাদনাঃ ড. জিনিয়া রহমান

প্রিয় ট্রাভেল সম্পর্কে আমাদের লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। যে কোনো তথ্য জানতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। ভ্রমণ বিষয়ক আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে ক্লিক করুন এই লিংকে - https://www.priyo.com/post।