কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ফাইল ছবি

মিয়ানমারকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভাবছে ভারত

জানিবুল হক হিরা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:২৭
আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:২৭

(প্রিয়.কম) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মানুষদের ওপর সেনাবাহিনীর চলমান দমন অভিযান ও গণহত্যা চালানোর অভিযোগে সারা বিশ্বে দেশটির প্রতি নিন্দা জানাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ যখন মিয়ানমারের দিকে থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে, ঠিক সে সময় ভারত সে দেশে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি ও সেনা প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোচনা চলাচ্ছে। যা কিনা দেশটির প্রতি নয়াদিল্লির জোরালো সমর্থনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মিয়ানমারের নৌবাহিনী সদস্যদের প্রশিক্ষণের বিষয়েও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমারের নৌপ্রধানের নয়াদিল্লি সফরে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আলোচনার সিদ্ধান্ত ‍আসলে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাবের বিপরীতে নিজেদের দাঁড়ানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর পদক্ষেপ চেয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বার্মার রাখাইন প্রদেশে চলমান সহিংসতা, এর কারণে সৃষ্ট মানবিক সংকট এবং সেখানে মানবাধিকার লংঘনের যেসব ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগের কারণে সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গ্রহণযোগ্য কোনো সমাধানে না আসা পর্যন্ত বার্মিজ সেনাবাহিনীর সব শিক্ষা কোর্স স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’

২০ সেপ্টেম্বর বুধবার মিয়ানমার নৌবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ অ্যাডমিরাল তিন অং সান ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং দেশটির সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে জানায় রয়টার্স। সে সময় দুই পক্ষের মধ্যে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় টহলে নৌযান সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে একজন সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া চার দিনের এই সফরে মিয়ানমারের নৌপ্রধান মুম্বাইয়ে ভারতের নৌজাহাজ নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ভারতের ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের পূর্বমুখী নীতির একটি স্তম্ভ এবং সম্পর্কের একটি বড় জায়গা প্রতিরক্ষা।’

নয়াদিল্লি ভিত্তিক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভারতের প্রতিবেশী নীতি বিশেষজ্ঞ কে ইওমে বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সমালোচনা করছে সে সময় উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাদের আনছে ভারত সরকার, এটা একটি বার্তা দিচ্ছে। বার্তাটি হচ্ছে, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ভারত মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আছে।’

প্রিয় সংবাদ/শান্ত