কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাত করেন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতিনিধিদল। ছবি: ফোকাস বাংলা

মিয়ানমারে যুদ্ধাপরাধের মতো ঘটনা ঘটেছে: মার্কিন প্রতিনিধিদল

জানিবুল হক হিরা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:২৩
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:২৩

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের একটি প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলে মনে করছে, সেখানে ‘যুদ্ধাপরাধের মতো’ ঘটনা ঘটেছে।

১৯ নভেম্বর রোববার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সিনেটর জেফ মার্কলের নেতৃত্বে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাতে গিয়ে এ কথা বলেন।

১০ সদস্যের মার্কিন প্রতিনিধিদলটি শুক্রবার রাতে বাংলাদেশে এসে শনিবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে। তারা উখিয়ার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার যাবে। সেখান থেকেও তারা তথ্য সংগ্রহ করবে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মনে করেন এটা যুদ্ধপরাধের মতো ঘটনা। তারা এই ধরনের যুদ্ধাপরাধ ও জাতিগত নির্মূলের মতো ঘটনায় উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন।’

বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মধ্যেও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে হত্যা ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইনে যা হচ্ছে, তা মানবাধিকারের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মত প্রকাশ করেছে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের দলটি।

বাংলাদেশেকে এই সমস্যা থেকে উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার কথাও জানান প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন তারা।

প্রতিনিধিদলের সদস্যরা শেখ হাসিনাকে জানান যে, তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচারের কথা শুনেছেন।

মিয়ানমার এই নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় তারা শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বলেও সাক্ষাতকালে উল্লেখ করেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।

ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেছেন, তারা চায় এই শরণার্থীরা তাদের নিজ দেশে ফেরত যাক।’

সেসময় শেখ হাসিনা বলেন, মানবিক কারণেই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমার আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। আমরা চাই তারা তাদের নাগরিকদের ফেরত নিক।’

মার্কিন প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সিনেটর রিচার্ড ডার্বিন, কংগ্রেসওম্যান বেটি ম্যাককলাম, জ্যান সাকোস্কি, কংগ্রেসম্যান ডেভিড এন সিসিলিন ছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, ডেপুটি চিফ অব মিশন জোয়েল রেইফম্যান, সিনেটর মার্কলের এমএলএ লরা আপডেগ্রোভ, মার্কলের লেজিসলেটিভ ডিরেক্টর জেরিমিয়াহ বাউম্যান এবং সিনেটর ডারবিনের এমএলএ রব লিওনার্ড।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত