চীনের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা। সংগৃহীত ছবি
অতীত ভুলে চীনের সঙ্গেই থাকতে চায় তিব্বত: দালাই লামা
আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৭, ২০:১৪
(প্রিয়.কম) চীনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা নয়, তিব্বতের বৃহত্তর উন্নয়ন চান বলে জানিয়েছেন ভারতে নির্বাসিত ওই অঞ্চলটির আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা।
২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে আলাপচারিতার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, চীন এবং তিব্বত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বাজায় রাখলেও মাঝে মাঝে দ্বন্দ্ব হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে ভারতে নির্বাসিত জীবন কাটানো এই আধ্যাত্মিক নেতা বলেন, ‘অতীত অতীতই। আমাদের এখন সামনের দিকে তাকাতে হবে।’
তিব্বতের মানুষের কাছে আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে পরিচিত দালাই লামা বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা চাই না। চীনের সঙ্গে থাকতে চাই। তবে আরও বেশি উন্নয়ন চাই।’ তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, তিব্বতের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান দেখাবে চীন।
তিনি বলেন, ‘তিব্বতের আলাদা সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য রয়েছে। চীনাদের নিজেদের দেশের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে। তেমনিই আমাদেরও আমাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে।’
গত কয়েক দশকে তিব্বতে যা ঘটেছে, সে সম্পর্কে বেশিরভাগ চীনা নাগরিক জানেন না দাবি করে দালাই লামা বলেন, এই সময়ে তিব্বতে অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে।
তিব্বতের ইকোলোজিক্যাল তাৎপর্যের কথা তুলে ধরে দালাই লামা বলেন, পরিবেশবিদরা এটাকে বলছেন তৃতীয় মেরু। অজন্তা আর সিন্ধুর মতো অনেক প্রধান নদীই তিব্বত থেকে এসেছে। আর এর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি প্রাণ। তিব্বতের খেয়াল রাখলে শুধু এ অঞ্চলের উন্নতিই নয়, একইসঙ্গে এসব কোটি কোটি প্রাণের জন্যেও ভালো হবে।
অরুণাচল প্রদেশে ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দের সফরে চীনা বিরোধিতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই দেশেরই উচিত ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই’ নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রাখা। দুই দেশেরই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পাশাপাশি সহবস্থান করা উচিত।
শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিব্বত ভারত সীমান্ত এলাকায় চীনের শায়ত্বশাসিত এলাকা। ১৯৬৫ সাল থেকে এটি শায়ত্বশাসন ভোগ করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা স্বাধীনতা চায়। দেশটির ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয় দালাই লামাকে।
প্রিয় সংবাদ/শান্ত