অভিনেত্রী নাজিরা মৌ। ছবি : শামছুল হক রিপন/প্রিয়.কম
ভালো কাজের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে রাজি : নাজিরা মৌ
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:২৪
(প্রিয়.কম) রাজধানীর উত্তরার শুটিং বাড়িগুলো গ্রীষ্ম-বর্ষা কিংবা কনকনে শীত মানে না। এই মাঘেও তাই ভীষণ কর্মব্যস্ততা দেখা গেল ‘নীলাঞ্জনা’ নামের একটি শুটিং বাড়িতে। সেখানে চলছে ‘রসের হাঁড়ি’ নাটকের শুটিং। টিপু আলমের গল্পে আকাশ রঞ্জনের রচনায় নাটকটির পরিচালনা করেছেন মেহেদী হাসান হৃদয়। নাটকে রিক্তা নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করছিলেন অভিনেত্রী নাজিরা মৌ।
দেশে ফিরে ৪ জানুয়ারি থেকে নাটকের কাজে মনোনিবেশ করেন নাজিরা মৌ। দেখা মেলে ‘নীলাঞ্জনা’য়। পড়ন্ত বিকেলে শীতের মাত্রা যখন বাড়ছিল, তখন আউটডোরে শট দিচ্ছিলেন মৌ। পরনে বেগুনি রঙের পাতলা একপ্রস্থ শাড়ি আর বেগুনি রঙা স্লিভলেস ব্লাউজ। এই শীতে এমন পোশাকের কথা কল্পনা করা যায়! মানুষ তো সোয়েটার, জ্যাকেট কিংবা চাদর পরেও শীতের প্রকোপ থেকে নিস্তার পায় না। সেই পরিবেশে নাজিরা মৌয়ের এমন পোশাক। সত্যিই, শুটিংয়ের প্রতি তার ডেডিকেশন যে কাউকে অনুপ্রাণিত করবে। শুটিংয়ের অবসরে মিনিট পাঁচেকের মতো কথা হয় তার সঙ্গে। সেই কথোপকথন প্রিয়.কম-এর পাঠকের জন্য পস্ত্রস্থ হলো।
নাজিরার এমন উপস্থাপনই বলে দেয় শত চাপেও তিনি নুয়ে পড়েন না। ছবি : শামছুল হক রিপন/প্রিয়.কম
শুটিং বাড়ি ‘নীলাঞ্জনা’র বেলকনির কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে মৌ। কাছে যেতেই বললেন, ‘বছরের শুরুতে নেপাল ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেখানকার তাপমাত্রা ছিল পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। ঠান্ডা মূলত সেখান থেকেই লেগেছে।’
প্রথম আলাপনটা কথোপকথনের পথ মসৃণ করে। তাই জানতে চাইলাম ‘রসের হাঁড়ি’ নাটক প্রসঙ্গে। তিনি জানালেন, ‘গল্পটা পছন্দ হয়েছে। ভিন্নধর্মী একটি চরিত্র। ইয়াং একটি মেয়ে কেবল মাস্টার্স করে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার হয়ে এসেছে। সেখানে তার চেয়েও বড় বয়সের একটি ছেলে আছে, যে এখনো ছাত্র, কারণ সে ঠিকমতো পড়াশোনা করে না, ফলে পাস করতে পারে না। সে আট-নয় বছর ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।’
‘রসের হাঁড়ি’ নাটকের পাশাপাশি মৌ জানালেন তার অন্য নাটক সম্পর্কেও। সাতটি নাটকে কাজ করছেন তিনি। এর মধ্যে তিনটি প্রচার হয়েছে আর বাকি চারটি ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ প্রচার হওয়ার সম্ভাবনা।
একসাথে এতগুলো নাটকের কাজ সামাল দেয়া যেকোনো শিল্পীর জন্য দুরূহ। কারণ এর সাথে জড়িয়ে থাকে বৈরী পরিবেশ, শারীরিক অবসাদ, মানসিক বৈকল্য ইত্যাকার বিষয়। সব শিল্পীকে এর মুখোমুখি হতে হয়। নাজিরা মৌয়ের বেলাতেও নিশ্চয় এর প্রভাব পড়ে। এমন বিষয়ের অবতারণায় মৌ জানান, ‘আসলে ভালোবাসা থেকে তো কাজ করা। শুটিং থাকলে তেমন একটা স্ট্রেস ফিল করি না। আর যেটা হয়, আমি বরাবরই খুব টানা শুটিং করি না। সপ্তাহে চার দিন কিংবা পাঁচ দিন শুটিং করি, বাকি দুই-তিন দিন আমি রেস্টই নিই। সবকিছু মিলিয়ে আমার ব্যালেন্স হয়ে যায়।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, ‘শুটিং যদি রাত ৩টা পর্যন্ত হয়, সেটিও করি। আবার যদি ভোর ৫টা পর্যন্ত হয়, সেটিও করি। প্যাকআপ হলে বাসায় চলে যাই। ভালো কাজের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে রাজি।‘
প্রিয় বিনোদন/গোরা/আজাদ চৌধুরী