কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজিব সামদানি। ছবি: সংগৃহীত।

১৫ হাজার ইউরো বাংলাদেশি শিল্পী ও শিল্পকলা একাডেমিকে দান করব: রাজিব সামদানি

কুদরত উল্লাহ
সহ-সম্পাদক, বিনোদন
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:১৩
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:১৩

(প্রিয়.কম) ব্যক্তিগতভাবে শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেলেন রাজিব ও নাদিয়া সামদানি। মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এই প্রথম কেউ এ সম্মান অর্জন করেন। এই নিয়ে কথা হল রাজিব সামদানির সঙ্গে। রাজিব ও নাদিয়া সামদানি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশীয় আর্টস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, দুবাইয়ের আলসার্কাল এভিনিউ প্রোগ্রামিং কমিটির সদস্য, আর্ট দুবাই এবং শ্রীলংকার কলম্বো দ্বিবার্ষিক প্রদর্শনীর উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যও।

প্রিয়.কম: কেমন আছেন আপনি?
রাজিব সামদানি: ভালো আছি। আপনি কেমন?

প্রিয়.কম: ভালো আছি। প্রথমেই আপনার কাছে জানতে চাই, মন্টব্লাঙ্ক দ্য লা কালচার আর্টস প্যাট্রনেজ অ্যাওয়ার্ডটি নিয়ে...
রাজিব সামদানি: মন্টব্লাঙ্ক দ্য লা কালচার আর্টস প্যাট্রনেজ অ্যাওয়ার্ড একটি বার্ষিক সম্মাননা পুরস্কার, যা ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করে। সমকালীন শিল্প পৃষ্ঠপোষকদের উৎসাহ ও স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এ অ্যাওয়ার্ড চালু করা হয়। ঢাকা আর্ট সামিট ও সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর আমি এবং আমার স্ত্রী নাদিয়া সামদানিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনের মাধ্যমে সম্মাননা হস্তান্তর করা হয়। এ অ্যাওয়ার্ডের সুদীর্ঘ তালিকায় নাম রয়েছে ইংল্যান্ডের প্রিন্স চার্লস, জাপানিজ শিল্পী ইয়োকো ওনো, নাট্যলেখক রবার্ট উইলসন, অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত মিউজিশিয়ান কুইনজি জোনস, ফিল্ক্ম প্রডিউসার মায়া হফম্যান এবং ইতালিয়ান আর্কিটেক্ট রেনজো পিয়ানোর।

প্রিয়.কম: সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন নিয়ে কিছু বলুন?
রাজিব সামদানি: সামদানি আর্ট হচ্ছে সামদানি বাংলাদেশি সমকালীন শিল্প ক্ষেত্রে উম্নয়ন এবং শিল্পী ও স্থপতিদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ২০১১ সালে সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশনের সূচনা করি। সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশি এবং দক্ষিণ এশীয় নবীন শিল্পীদের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করতে সহায়তা করে, বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, রেসিডেন্সি ও শিক্ষা কার্যক্রম আয়োজন করে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ হলো ঢাকা আর্ট সামিট, যা একটি অবাণিজ্যিক গবেষণা ও প্রদর্শনীর মঞ্চ। অ্যাওয়ার্ড্ররে পাশাপাশি সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক প্রাঙ্গণে সমকালীন শিল্প ও শিল্পীর প্রচার নিয়ে কাজ করে।

প্রিয়.কম: সামদানি দম্পতি মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র এবং প্রথমবারের মতো অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। অ্যাওয়ার্ড টি পেয়ে আপনার আনুভূতি কী?
রাজিব সামদানি: এ অর্জন ব্যক্তিগতভাবে আমাদের জন্য বিশাল এক প্রাপ্তি এবং অনুপ্রেরণার। এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ব নতুন ভাবে চিনল। শিল্প ও সংস্কৃতিতে বাংলাদেশ খুবই সমৃদ্ধ, তা এই অর্জনের মাধ্যমে আরেকবার প্রমাণিত। এ অনুষ্ঠানটি গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের আলসার্কাল এভিনিউয়ে অবস্থিত কঙ্কক্রিটে অনুষ্ঠিত হয় এবং তা পরিচালনা করেন মন্টব্লাঙ্ক কালচারাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান স্যাম বারডাউইল ও টিল ফেলরাথ। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আমাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। এই পুরস্কারের সঙ্গে ১৫ হাজার ইউরো দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশি শিল্পীদের উম্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিকে দান করবো এই ইউরোগুলো। এ বছর পৃথিবীর মধ্যে ১৭ জনকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়, যারা কি-না আন্তর্জাতিক বিচারক দ্বারা নির্বাচিত।

প্রিয়.কম: সিলেটে সম্প্রতি আপনারা স্কাল্পচার পার্ক' উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। এ নিয়ে যদি কিছু বলতেন?
রাজিব সামদানি: আমরা বাংলাদেশের প্রথম ভাস্কর্য পার্ক 'শ্রী হট্ট-সামদানি আর্ট সেন্টার ও স্কাল্পচার পার্ক' সিলেটে উদ্বোধন করতে যাচ্ছি ২০১৮ সালে।' দক্ষিণ এশীয় এবং আন্তর্জাতিক শিল্প সংগ্রহের জন্য পরিচিত ও স্বীকতি হিসেবে 'আর্ট নিউজ' পত্রিকায় ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে ২০০ শীর্ষ সংগ্রাহক, আর্ট রিভিউ পত্রিকায় ২০১৫, ২০১৬ সালে পাওয়ার ১০০ এবং আর্টনেট নিউজ পত্রিকায় ২০০০ সালে পৃথিবীর শীর্ষ ১০০ শিল্প সংগ্রাহক তালিকায় সামদানি দম্পতির নাম রয়েছে। আমরা যুক্তরাজ্যে বিখ্যাত টেট মিউজিয়ামের দক্ষিণ এশীয় অধিগ্রহণ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কো-চেয়ারম্যান এবং দু'জনেই এই মিউজিয়ামের আন্তর্জাতিক কাউন্সিলের সদস্য।

প্রিয়.কম: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রাজিব সামদানি: আপনাকে ও প্রিয়.কমকেও অনেক ধন্যবাদ।

প্রিয় বিনোদন/গোরা