কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চট্টগ্রাম বন্দরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। ছবি: সংগৃহীত

নিয়োগে চট্টগ্রামের লোকদের বেশি সুযোগ দিয়েছি: নৌমন্ত্রী

তাজুল ইসলাম পলাশ
প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৫০
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৫০

(প্রিয়.কম) চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর পদে জনবল নিয়োগে অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তার ভাষ্য, ‘না জেনে রিপোর্ট করে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।’

১৯ নভেম্বর রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের সাউথ কন্টেইনার ইয়ার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের একটি পত্রিকা বন্দরে নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই রিপোর্ট প্রত্যাখান করে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বন্দরকে এ অবস্থায় আনতে অনেক সঞ্চয় করতে হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগ তুলে যে রিপোর্ট করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অথচ নিয়োগে আমি চট্টগ্রামের লোকদের বেশি সুযোগ দিয়েছি।’

মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘না জেনে কোন কিছু লিখবেন না। আপনি কি জানেন, ৮৫ জনের মধ্যে চট্টগ্রামের কয়জন? পোষ্যসহ চট্টগ্রামের ৪৫ এবং অন্যান্য জেলার ৪০ জনকে যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

‘শুধু তাই নয়, লেখা হয়েছে আমি নাকি বন্দরের কোটি কোটি টাকা অপচয় করেছি। সেই টাকা দিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করেছি। বন্দরকে এগিয়ে নিতে আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে গেছি। এ ছাড়া অন্য কিছু নয়,’ বলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী।

শাজাহান খান জানান, তিনি ওই পত্রিকার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। রিপোর্টারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি নাকি আট বার বিদেশ ভ্রমণ করেছি? তাকে প্রমাণ করতে হবে আমি কয়বার বিদেশ গেছি। সেই হিসেব আমি আদালতে দাখিল করেছি। সরকারি জিও আছে।’

এরপরও মন্ত্রী মনে করেন, ‘ভুল মানুষের থাকতে পারে। আমার থাকলে তা ধরিয়ে দেবেন। কিন্তু হেয় প্রতিপন্ন করার অধিকার আপনি কোথায় পেলেন?’

পরে মন্ত্রী বন্দরের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন, ‘বিদেশ গিয়ে অভিজ্ঞতা নিয়েছেন বলেই বন্দরের জন্য মোবাইল স্ক্যানারের মতো আধুনিক যন্ত্র কিনতে পেরেছেন। লোকসান কাটিয়ে ২০১৬ পর্যন্ত মোংলা বন্দরের আয় হয়েছে ৭০ কোটি টাকা। তা ছাড়া পায়রা বন্দরে ১১টি জাহাজ পণ্য খালাস করতে পেরেছে। আর এসব বন্দরকে এগিয়ে নিতে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হয়েছে। বিমানবন্দর সড়কের পতেঙ্গা এলাকায় সাইলো জেটির পাশে নির্মাণ করা হয়েছে সাউথ কন্টেইনার ইয়ার্ড। ২১ মাসে ৪৩ কোটি ৪০ লাখ টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১০ একর জায়গায় কন্টেইনার ইয়ার্ড, ৮০০ মিটার কাস্টমস বন্ডেড ওয়াল, চার তলা বিশিষ্ট একটি প্রশাসনিক ভবন, দুইতলা বিশিষ্ট একটি বিদ্যুত উপকেন্দ্র, একটি গেট হাউস কমপ্লেক্স, আটটি নিরাপত্তা টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ইয়ার্ডে অস্থায়ীভাবে নিলাম কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহার হচ্ছে। ইয়ার্ডে সাড়ে ৩ হাজার কন্টেইনার রাখা যাবে ‘

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম, এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। 

প্রিয় সংবাদ/কামরুল