কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রোহিঙ্গা শিশুর পাশে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলা

রোহিঙ্গাদের পাশে এক মানবিক প্রধানমন্ত্রী

জাহিদুল ইসলাম জন
জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:০১
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:০১

(প্রিয়.কম) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ত্রাণ বিতরণ করতে যান প্রধানমন্ত্রী। সে সময় রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি তিনি। কেঁদে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী, সান্ত্বনা দেন ও এই দুঃসময়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

সে সময় তোলা বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ছবিগুলো শেয়ার দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার প্রশংসা করছেন।

রোহিঙ্গা শিশুর পাশে প্রধানমন্ত্রী। ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ছবি

রোহিঙ্গা শিশুর পাশে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলা 

সকালে কক্সবাজার পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা দমন অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি তাদের দুর্দশার কথা শোনেন তিনি। এরপর তাদের উদ্দেশে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

রোহিঙ্গাদের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা শুনছেন প্রধানমন্ত্রী। ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ছবি
রোহিঙ্গাদের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা শুনছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলা 

রোহিঙ্গাদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘স্বজন হারানোর কষ্ট আমি বুঝি। মানবিক দিক বিবেচনা করে আপনাদের এখানে সাময়িক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে নির্যাতনের বর্ণনা দেন রোহিঙ্গারা। ফেসবুকে পাওয়া ছবি

প্রধানমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে নির্যাতনের বর্ণনা দেন রোহিঙ্গারা। ছবি: ফোকাস বাংলা 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে।’

রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের চিহ্ন দেখেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলা

রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের চিহ্ন দেখেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি খুন আর ধর্ষণের শিকার হওয়ার মুখে বাংলাদেশ সীমান্তের পালাতে শুরু করে তারা। পরে তাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত