শিল্পীর তুলিতে দৈত্যাকার গ্রহটির নমুনা চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
দানবীয় ‘গ্রহে’র সন্ধান, ‘ধ্বংস করবে’ পৃথিবী!
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:৩১
(প্রিয়.কম) নতুন একটি দৈত্যাকার ‘গ্রহ’ আবিস্কারের দাবি করেছে ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)। নতুন এই আবিস্কার পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধানের বিষয়টিকে আবার সামনে নিয়ে এসেছে।
গবেষকরা এ সপ্তাহের শুরুতে বলেছেন, নতুন আবিস্কৃত গ্রহটি বিশাল আকৃতির। তাই এটি আসলে গ্রহ কিনা এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন।
দৈত্যাকার এ গ্রহকে নাম দেওয়া হয়েছে ওজিএলই-২০১৬-বিএলজি-১১৯০এলবি (OGLE-2016-BLG-1190Lb)। নাসার টেলিস্কোপ ‘স্পিটজার’ গ্রহটি খুঁজে পেয়েছে।
নাসার টেলিস্কোপ ‘স্পিটজার’। ছবি: সংগৃহীত
তাদের ধারণা, সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতির চেয়েও এটি ১৩ গুণ বড়। এটা এতই বড় যে, বিশেষজ্ঞরা অনেকে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, এটা হয়তো কোনো ব্যর্থ তারকা।
কিন্তু কেয়ামতে (পৃথিবী ধ্বংস) বিশ্বাসী একদল মানুষ ধারণা করছেন যে, এটা আসলে নিবিরু, অর্থাৎ প্ল্যানেট অফ ক্রসিং অথবা প্লানেট এক্স। যার মাধ্যমে পৃথিবী ধ্বংস হবে।
প্রসঙ্গত, একদল মানুষ বিশ্বাস করে, বড় একটি গ্রহের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। সেই গ্রহটির নাম নিবিরু। এর মাধ্যমে ২১ শতকের মধ্যেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।
তাদের ধারণা, নিবিরু যেকোনো সময় পৃথিবীর কক্ষপথে এসে আঘাত হানতে পারে।
তাদেররই একজন ডেভিড মিড। তিনি দাবি করেছেন, ‘পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুর দিকে এগিয়ে আসছে একটি গ্রহ। নিবিরু নামে একটি বৃহত্ গ্রহ। গ্রহটিকেই তিনি ‘প্লানেট এক্স’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
তবে গবেষকরাও এও ধারণা করছেন যে, এটা গ্রহ নাও হতে পারে। এটা হতে পারে ‘ব্রাউন ডোয়ারফ’। এটি পৃথিবী থেকে ২২ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে।
সূত্র: মিরর