বাতাসে ভর করে ধুলো-বালি অন্ধকার করে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। ভারতের রাজধানী দিল্লীতে এমন দৃশ্য হরহামেশাই চোখে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত
দিল্লীতে ভয়াবহ ধোঁয়াশার দায় পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের!
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৭
(প্রিয়.কম) এমনিতেই বায়ু দূষণে কাবু হয়ে আছে ভারতের রাজধানী দিল্লী। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরীর খেতাবও এখন তার ঝুলিতে। এবার মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে মারত্মক দূষিত ধোঁয়াশা।
গত কয়েকদিন যাবৎ দিল্লীতে এ ধোঁয়াশার চাদর ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর স্তর এতটাই ভারী যে তাকে কুয়াশার কম্বল বললে একেবারে ভুল বলা হয় না।
পরিস্থিতি বিবেচনায় ইতিমধ্যে ভারতের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ‘পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করেছে।
কিন্তু এর দায় নাকি দিল্লীর নয়। দিল্লীর এ নাজুক অবস্থার কারণে আসলে প্রতিবেশী পাকিস্তান এবং কুয়েত, ইরান ও সৌদি আরব! নাসার স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দিল্লির ধোঁয়াশার কিছু কারণ তুলে ধরেছেন ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা।
নাসার স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমেই ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন দিল্লীর এ ধোঁয়াশার উৎপত্তিস্থল মধ্যপ্রাচ্য। ছবি: সংগৃহীত
তারা বলছেন, প্রতি বছরের এ সময়টিতে মধ্যপ্রাচ্যের দিক থেকে ভারতের ওপর দিয়ে একটি শক্তিশালী বাতাস বয়ে যায়, বায়ুমণ্ডল উপরের স্তর হয়ে। এ বাতাস উৎপত্তিস্থল কুয়েত, ইরান, সৌদি আরবের মরুর ধুলোর সঙ্গে মিশে পাকিস্তানে আসে। পাকিস্তানের তুলনামূলক শীতল অঞ্চল পাড়ি দেওয়ার সময় বাতাসের সঙ্গে জলকণা মিশে তৈরি হয় কুয়াশা। যা দিল্লী ও আশেপাশের রাজ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
দেশটির আবহাওয়াবিদদের মতে, খোদ ভারতের হরিয়ানা ও পাঞ্চাব রাজ্যও দিল্লীর এ মারত্মক দূষিত কুয়াশার জন্য দায়ী। এসময় দুই রাজ্যের কৃষকরা ফসল তোলার পর মাঠেই নাড়া পুড়িয়ে দেয়। যা অারব থেকে পাকিস্তান হয়ে ধুলো এবং জলকণার কুয়াশার সঙ্গে মিশে বিষাক্ত করে তুলছে পরিবেশকে। যার কারণে ভারী ধোঁয়াশার সৃষ্টি হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিল্লির বাতাসে ভাসমান বস্তুকণার (পার্টিকুলেট ম্যাটার) পরিমাণ বেইজিংয়ের চেয়েও দশ গুণ বেশি। তবে, খুব দ্রুত সমাধান দেখছেন না কেউই। কেননা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দিল্লী হয়ে পশ্চিমা ঝোড়ো হাওয়ার বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ধকল কাটাতে দিল্লী রাজ্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কাশি, গলা, চোখ জ্বালার সমস্যাসহ নানা উপসর্গ নিয়ে রোগীর ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
প্রিয় সংবাদ