কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি: প্রিয়.কম

দ্য নিউজ মিডিয়া: হোয়াট এভরিওয়ান নিডস টু নো || প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে সংবাদ ভাগাভাগি করে

মিজানুর রহমান
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০১৭, ২০:৪৮
আপডেট: ০১ আগস্ট ২০১৭, ২০:৪৮

নিউ ইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক সি. ডব্লিউ. অ্যান্ডারসন, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম বিভাগের অধ্যাপক লিওনার্ড ডাউনি জুনিয়র এবং কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির জার্নালিজমের অধ্যাপক মাইকেল শাডসন দ্য নিউজ মিডিয়া: হোয়াট এভরিওয়ান নিডস টু নো নামের একটি বই লিখেছেন। ২০১৬ সালে বইটি প্রকাশ করে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। বইটিতে লেখকরা সাংবাদিকতার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন। সেই বই অনুসারে ধারাবাহিকভাবে অনুলিখন করছেন মিজানুর রহমান

আজকের বিষয়: প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে সংবাদ ভাগাভাগি করে

(প্রিয়.কম) অলাভজনক সংবাদমাধ্যমগুলো নিজেদের মধ্যে কিংবা বাণিজ্যিক সংবাদমাধ্যমগুলোর সাথে সংবাদ ভাগাভাগি করে। সংবাদমাধ্যগুলোর মধ্যে এটি এখন নতুন ও অত্যন্ত ফলপ্রসু একটি প্রবণতা এবং দিন দিন এই প্রবণতা আরও বাড়ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক উত্থানের আগে সংবাদমাধ্যমগুলো একে অন্যের সাথে খুবই কদাচিৎ খবর ভাগাভাগি করত। কিন্তু এখন বড় সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে ছোট সংবাদমাধ্যম, প্রত্যেকেই একে অন্যের সাথে সংবাদ ভাগাভাগি করছে। বলতে গেলে, সংবাদ শেয়ার করতে বাধ্য হচ্ছে।

ওহিও’র সবচেয়ে বড় ৮টি পত্রিকা প্রতিনিয়ত নিজেদের মধ্যে সংবাদ ভাগাভাগি করছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো খবর, যেটি উভয় পত্রিকাই কাভার করতে চায়, এমন খবর সংগ্রহের ক্ষেত্রে তারা আগেই সমঝোতা করে নেয়। এতে করে উভয়েরই খরচ কমে। টেক্সাসের পাঁচটি পত্রিকাও নিজেদের মধ্যে খবর ভাগাভাগি করে। দ্য বাল্টিমোর সান এবং ওয়াশিংটন পোস্ট’র মধ্যেও এমন খবর ভাগাভাগির সমঝোতা আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বহু বড় বড় শহরে পত্রিকা, রেডিও ও টিভি চ্যানেলগুলো নিজেদের মধ্যে আবহাওয়া, খেলাসহ স্থানীয় বিভিন্ন খবর ভাগাভাগি করে। নিউ অরলিন্সের ডব্লিউভিইউই টিভি চ্যানেল প্রচারিত আবহাওয়ার খবর এবং ভিডিও নেওয়া হয় স্থানীয় ‘টাইমস পিকায়্যুন’ এর ওয়েবসাইট থেকে। একইভাবে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য এই নিউজ সাইটটি ডব্লিউভিইউই টিভির কাছ থেকে সংবাদ নেয়।

শিকাগো, মিয়ামি, লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ডিয়োগেতো এনবিসির মালিকানাধীন সবগুলো টিভি চ্যানেলই ব্রেকিং নিউজ থেকে শুরু করে অন্যান্য সব বিভাগের সংবাদের জন্য স্থানীয় অন্যান্য অলাভজনক সংবাদমাধ্যমের সাথে সমঝোতা করেছে। এ ধরনের অলাভজনক সংবাদমাধ্যমগুলোকে তাদের নিজস্ব সাংবাদিকতা করার জন্য এনবিসির মালিকানাধীন টিভিগুলো প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তাও দিয়ে থাকে। 

প্রো-পাবলিক, দ্য টেক্সাস ট্রিবিউন, সেন্টার ফর ইনভেস্টগেশন রিপোর্টিংসহ অন্যান্য অলাভজনক সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের ওয়েবসাইটে স্থানীয় খবরাখবরের ওপর গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেছে।

নিউজ ভাগাভাগির ফলে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ের গভীরে গিয়ে অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে টিভি ও পত্রিকা উভয়েই লাভবান হচ্ছে। কারণ খবর ভাগাভাগির ফলে তারা যত বিস্তৃত ও ব্যাপক তথ্য পাচ্ছে, একা একা করতে গেলে হয়তো ততটা পাওয়া যেত না। ‘দ্য কায়সার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন’র অলাভজনক সংবাদ সাইট ‘কায়সার হেলথ নিউজ’ এর স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদ দেশজুড়ে বহু টিভি, পত্রিকা ও রেডিওতে প্রচারিত হয়।

অলাভজনক সংবাদমাধ্যম দ্য মার্শাল প্রজেক্ট-এ  ২০১৪ সালে ক্রিমিনাল জাস্টিস নিয়ে তিন পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রথম দুটি পর্বেই ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে হ্যারিকেন ক্যাটরিনার আঘাতের পর নিউ অরলিন্সের মেমোরিয়াল মেডিকেল সেন্টারে নিহতদের ওপর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য প্রো-পাবলিকা পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছিল। অথচ প্রো-পাবলিকার ওই প্রতিবেদনটি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনে সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।