কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হাইকোর্ট। পুরোনো ছবি।

পুলিশ হেফাজত থেকে চিকিৎসক নিখোঁজের শুনানি ২৩ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:২৯
আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:২৯

(প্রিয়.কম) সাতক্ষীরায় পুলিশ হেফাজত থেকে নিখোঁজ হওয়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক জনির স্ত্রীর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণ না করার বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)’র প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

২১ জানুয়ারি রোববার এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০১৬ সালের ৪ আগস্ট সাতক্ষীরার কুকড়ালি গ্রাম থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শেখ মোখলেছুর রহমান জনিকে বিনা অভিযোগে আটক করে পুলিশ। ৫, ৬ ও ৭ তারিখ জনিকে থানায় জনিকে খাবার দিয়ে আসে তার মা ও স্ত্রী । কিন্তু ৮ আগস্ট থেকে জনির আর কোনো খোঁজ পাওয়া না তার পরিবার।

জনির স্ত্রী জেসমিন নাহার থানা থেকে তার স্বামীর নিখোঁজের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানায়, জনি থানায় নেই, সে কোথায় আছে জানি না। একইসঙ্গে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করতে জনির স্ত্রীকে হুমকি দেয় থানার এক কর্মকর্তা।

এমনকি জনির নিখোঁজের বিষয়ে কোনো জিডি বা মামলাও নেয়নি পুলিশ। জনির স্ত্রী স্বামীর খোঁজ করতে পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশ সুপার (এসপি), পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেও কোনো উত্তর পাননি। তাই সব শেষে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্ত হন।

গত বছরের ১৯ মার্চ হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট রিটের শুনানি শেষে আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি এবং এসপিকে মোখলেছুর রহমান জনিকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। 

এ ছাড়া জনিকে পুনঃরায় তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করার নির্দেশও দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই তদন্তের জন্য পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি) কর্তৃক পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সে দিন আদালত বলেন, ‘এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে তিনি দ্বিধান্বিত। মামলার তদন্তকারী নিজেই বলেছেন, তদন্তের সময় তিনি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পূর্ণ সহযোগিতা পাননি। তাই তদন্তও তিনি পুরোপুরি শেষ করতে পারেননি। সুতরাং পুনরায় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’

পাশাপাশি আগামী ৩ অক্টোবর এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতেও নির্দেশ দেওয়া হলো।

প্রিয় সংবাদ/কেএফ