কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ফল থেকে জুস তৈরি করলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আপনি ছবি: রিপন

এই ৭টি ‘স্বাস্থ্যকর’ খাবার থেকে দূরে থাকুন

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ১১:৫০
আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ১১:৫০

(প্রিয়.কম) খাওয়ার সময়ে বুঝে ওঠা ভার কোন খাবারটা আসলে স্বাস্থ্যকর। শুকনো ছিপছিপে মানুষটির জন্য যে খাবারটি স্বাস্থ্যকর, ওবেসিটিতে ভোগা মানুষের জন্য সেটাই আবার বিষ। আমরা এখন জানি যে কিছু কিছু কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং কফির মতো খাবারগুলো আসলে তেমন অস্বাস্থ্যকর ন্য। কিন্তু আপনি স্বাস্থ্যকর ভেবে যে খাবারগুলো সানন্দে প্রতিদিন খাচ্ছেন বা পান করছেন, সেগুলোই বা কতটুকু স্বাস্থ্যকর? শুনে অবাক হবেন, স্বাস্থ্যকর বলে পরিচিত কিছু খাবারের আসলে উপকারিতা খুবই কম, বরং এসব খাবার খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশী। দেখে নিন, এসব খাবারের মাঝে কোনোটি আপনারও খুব প্রিয় নয়তো?

ফ্রুট জুস

জুস তো ফল ও সবজি দিয়েই তৈরি হয়, যেমন কমলা, স্ট্রবেরি, পেঁপে বা টমেটোর জুস। তাহলে এটা অস্বাস্থ্যকর হবে কী করে? বরং কোক-পেপসির মতো কোমল পানীয়ের চাইতে তো ফলের রস উপকারী। হ্যাঁ, যদি টাটকা ফল থেকে নিজেই জুস তৈরি করে পান করতে পারেন, তাহলে পাওয়া যেতে পারে বেশ কিছুটা ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আপনি। একটি ফল থেকে তো আর এক গ্লাস জুস হবে না। এ কারণে আসলে একটি ফল খাওয়ার তুলনায় এক গ্লাস ফলের রসে বেশী চিনি খাওয়া হয়।

granola bar

গ্র্যানোলা

গ্র্যানোলা বার বা গ্র্যানোলা মিক্স অনেকেই সকালের নাশতা হিসেবে খান। কিন্তু আপনি কি জানেন, এটিতে প্রচুর চিনি, কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি থাকে এবং প্রোটিন থাকে কম? হ্যাঁ, এতে অনেক ফাইবার থাকে ঠিকই, কিন্তু চিনি বেশী থাকার কারণে নাশতা নয়, বরং নাশতার পরের ডেজার্ট হিসেবে একে খাওয়াই বেশী যুক্তিযুক্ত। 

যে কোনো ফ্যাট-ফ্রি খাবার

ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই ফ্যাট ফ্রি মিল্ক, ইয়োগার্ট ইত্যাদি খান। কিন্তু আপনি কি জানেন, এসব ফ্যাট ফ্রি খাবারকে সুস্বাদু করতে বেশিরভাগ সময়েই এতে অতিরিক্ত চিনি মেশানো হয়? কিছু কিছু ফ্যাট কিন্তু আপনার জন্য আসলে উপকারী। এগুলোর বদলে চিনি বেশী খাওয়াটাই বরং ক্ষতিকর। 

আমন্ড মিল্ক

অনেকেই ভাবেন সাধারণ গরুর দুধের চাইতে আমন্ড মিল্ক বেশী স্বাস্থ্যকর। তা কিন্তু মোটেই না। আপনি যদি নিরামিষভোজী হয়ে থাকেন, অথবা ডেইরি ইনটলারেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আমন্ড মিল্ক আপনার জন্য একটি ভালো খাবার। কিন্তু এসব কারণ ছাড়াই গরুর দুধের বদলে আমন্ড মিল্ক পান করাটা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কারণ এতে প্রোটিন থাকে অনেক কম। সাধারণ গরুর দুধেই অনেক দরকারি ভিটামিন এ, বি ১২, ফসফরাস, ম্যাগবেসিয়াম, জিঙ্ক এবং রিবোফ্লাভিন থাকে। তাই গরুর দুধ পান করাটাই বেশী উপকারী। 

ড্রাই ফ্রুট

এটা শুনে অনেকেরই খটকা লাগতে পারে। ড্রাই ফ্রুট আসলে তেমন খারাপ নয়, এতে থাকা ফাইবার এবং ফেনল ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বরং টাটকা ফলের চাইতে বেশী উপকারী। কিন্তু এতে থাকে অনেক বেশী চিনি এবং ক্যালরি। আর টাটকা ফলের তুলনায় আসলে আমাদের ড্রাই ফ্রুট বেশী খাওয়া হয়। যেমন, এক প্যাকেট বানানা চিপস খাওয়া অনেক সহজ, কিন্তু ৩-৪টা কলা একসাথে তো আর খাওয়া হয় না। সুতরাং ড্রাই ফ্রুট খাওয়ার সময়ে কম পরিমাণে খাওয়াটাই যুক্তিযুক্ত।

coconut oil

নারিকেল তেল

ইদানিং অন্যান্য তেলের তুলনায় নারিকেল তেলকে রান্নার কাজে বেশী স্বাস্থ্যকর বলা হচ্ছে। আসলে কিন্তু তা নয়। কারণ এর ৮২ শতাংশই হলো স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কিনা অলিভ অয়েল এমনকি মাখনের চাইতেও বেশী! স্যাচুরেটেড ফ্যাট আপনার শরীরে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ায় এই ভাবে। 

ভেজিটেবল চিপস

সবজি দিয়ে তৈরি বলেই চিপস যে স্বাস্থ্যকর হবে, এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। যে কোন চিপসই ডিপ ফ্রাই করা এবং লবণে মাখানো থাকে। ফলে এটা খাওয়া মানেই অতিরিক্ত ফ্যাট, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং লবণ খাওয়া হচ্ছে। এতে উপকার আসলে হচ্ছে না তেমন। 

সূত্র: Reader’s Digest

প্রিয় লাইফ/ আর বি