কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গুরমিত সিং এর সঙ্গে পালিতকন্যা হানিপ্রীত ইনসান। ছবি: সংগৃহীত

গুরমিতের পালিতকন্যা হানিপ্রীতকে খুঁজছে হরিয়ানা পুলিশ

হাসান আদিল
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:২৪
আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:২৪

(প্রিয়.কম) স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের সঙ্গে পালিতকন্যা হানিপ্রীত ইনসানের শারিরীক সম্পর্কের অভিযোগ পুরোনো। সাজার ঘোষণা শোনার পর পালিতকন্যার সঙ্গে রাত্রিবাসের আবদারও রং হারিয়েছে। প্রতিনিয়ত নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে গুরুর ডেরা থেকে। এরই মধ্যে হানিপ্রীত ইনসানের খোঁজ মিলছে না! টাল সামলাতে গা ঢাকা দিয়েছেন বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

কিন্তু আর পারলেন কোথায়? হরিয়ানা পুলিশের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। পালাতে যেন না পারে এ জন্য বিমানবন্দর সহ রাজ্যের সকল চেকপোস্টগুলোকে সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। ধর্মগুরুকে দোষি সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণার দিন সহিংসতা ছড়ানোর পেছনে হানিপ্রীতের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। সহিংসতায় প্রায় ৩৬জন নিহত হয়। একই সঙ্গে পালানোর ছকও তৈরি ছিলো বলে জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। একটি লাল ব্যাগকে ঘিরে সন্দেহ হালে পানি পায়। যার মাধ্যমে রায় ঘোষণার পর সংকেত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ভক্তদের মাঝে। যেন তারা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়। 

অপরদিকে ‘টোম্যাটো ফোড়ো’ লেখা একটি সাংকেতিক বার্তাও ডেরায় পৌঁছে দেওয়া হয় রায় ঘোষণার পরে। যার কারণেই ভক্তদের ক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। এর ফাঁকে পালানোর ছক বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন গুরমিত সিংহ। হানিপ্রীত ইনসান ছিলেন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে। তবে হরিয়ানার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সুমিত কুমারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দলের সময়োপযোগী তৎপরতায় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

পরবর্তীতে জেলের মধ্যে বিশেষ আদালত বসিয়ে ১০ বছর করে ২০ বছরের সাজা দেওয়া হয় গুরমিতকে। সঙ্গে ১৫ লাখ করে ৩০ লাখ রুপি আর্থিক জরিমানা করা হয়। এরপর থেকেই হানিপ্রীত ইনসানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। কিন্তু টিকির খোঁজও পায়নি পুলিশ। যার পরিপ্রেক্ষিতে এবার জারি করা হয়েছে লুক আউট নোটিশও।

প্রিয় সংবাদ/মিজান