কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গুরমিত রাম রহিম সিংহ। ফাইল ছবি

‘গুহা’তে কী হত রাতে? জানালেন পালিয়ে আসা ‘রাধিকা’

সজিব ঘোষ
সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:০৮
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:০৮

(প্রিয়.কম) বাবা গুরমিত রাম রহিম সিংহের ডেরাকে ঘিরে একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসছে। আর এবার ভারতীয় এক সংবাদ মাধমে দেওয়া এক রাধিকার সাক্ষাৎকার যেন বাকরুদ্ধ করে দেবে সকলের৷ প্রায় সাত বছর ধর্ষক রাম রহিমের ডেরাতে কাজ করেছে এই রাধিকা৷ কিন্তু সেখান থেকে পরে তাকে পালিয়ে আসতে হয়৷

ডেরায় রাতে কী হত এ প্রসঙ্গে এই রাধিকা বলেন, ‘ধর্ষক রাম রহিম সারারাত নাচ করত৷ রাতে চার পাঁচ বার পোশাক বদলে ফেলত রাম রহিম৷ নিজে গান করত, স্কুলের বাচ্চারাও নাচ করত৷ এর জন্য টিকিট লাগত৷ এই টিকিটের মূল্য সাত হাজার থেকে শুরু হত৷’

তিনি বলেন, ‘গুরমিতের যত কাছে ভক্তরা যেতে চাইবে, ততই বেশি দিতে হত টিকিটের মূল্য৷ আর তা এক থেকে আট লাখ পর্যন্ত পৌঁছে যেত৷ তবে রামরহিমের মতে, এই টাকা দুঃস্থদের চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হত৷ কিন্তু বাস্তবে রাধিকার চোখে তা পড়েনি৷’

নারীদের সঙ্গে কী হত ডেরায় এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, ‘ভক্ত বা বাইরের ভক্তরা তাদের কুমারী মেয়েদেরকে গুরমিতের কাছে দান করে যেত৷ তিন চার বছর ধরে এদের ট্রেনিং দেওয়া হত, সেই ট্রেনিংয়ের নামে চলত সেবাদানের পর্ব৷ এদের তখন ব্রহ্মচারী বলা হত৷ পরে তাদের ইন্টারভিউ হত৷ এরপর তাদের গুরমিত প্রসাদ দিত৷ তারপর থেকে তাদের বলা হয় সেবাদার৷ তবে এই প্রসাদ কিন্তু যে সে প্রসাদ নয়৷ রাম রহিমের বিশেষ প্রসাদ, যার নামের আড়ালেই চলত অপকর্ম৷’

২০০৭ সালে যখন সিবিআই কেস হয় গুরমিতের বিরুদ্ধে, তার ভয় ছিল; কুমারী এই সাধ্বীরা সংবাদমাধ্যমের সামনে বেফাঁস যাতে কিছু না বলে দেয়। তার জন্য তখন সাধ্বীদের বাসস্থান বদলে দেওয়া হয়৷ এদের সঙ্গে যাতে বাইরের কেউ দেখা না করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছিল৷ পরিবারের সদস্যরা কখনো কখনো দেখা করতে আসত বলেও জানান তিনি

প্রিয় সংবাদ/সজিব