কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হানিপ্রীত ইনসান। সংগৃহীত ছবি

‘বাবা’র মতোই বর্ণময় চরিত্র, কে এই হানিপ্রীত?

নাজমুল হাসান শান্ত
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:৩৮
আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:৩৮

(প্রিয়.কম) ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত গুরমিত রাম রহিম সিং গেলেন জেলে। ‘বাবা’কে নিয়ে পালানোর ছক ভেস্তে গেছে। আর সে থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন হানিপ্রীত ইনসান। এই মুহূর্তে তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ‘বাবা’র ছায়াসঙ্গী তাই নিজের বিপদের গন্ধ পেয়েই গা ঢাকা দেন। যে দিন রাম রহিমের সাজা ঘোষণা হয়ে যায়, সে দিন থেকেই বেপাত্তা হানিপ্রীত। তার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। কিন্তু কে এই হানিপ্রীত?

হানিপ্রীত

১৯৯৯-এ সিরসার এক ডেরা ভক্ত বিশ্বাস গুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সেই সময় থেকেই রাম রহিমের সঙ্গে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা। প্রিয়ঙ্কা থেকে তিনি পরিচিত হন হানিপ্রীত নামে। সংগৃহীত ছবি 

হানিপ্রীতের আসল নাম প্রিয়ঙ্কা তানেজা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ফেসবুকে তার ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ৫ লক্ষ। ভক্তদের অনেকে মনে করতেন, তার সিদ্ধান্তই ‘বাবা’র সিদ্ধান্ত। হানিপ্রীত রাম রহিমের পালিত কন্যা হলেও বাবার খুবই ঘনিষ্ঠ। আর সে কারণেই নাকি খুব অল্প সময়েই তার উত্থান।

হানিপ্রীত

২০০৯-এ হানিকে দত্তক নেন রাম রহিম। তখন থেকেই বাবা-র ছায়াসঙ্গী হানিপ্রীত। সংগৃহীত ছবি 

হিসারের ফতেহবাদের এক সাধারণ ঘরের মেয়ে প্রিয়ঙ্কা। ১৯৯৯-এ সিরসার এক ডেরা ভক্ত বিশ্বাস গুপ্তের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেই সময় থেকেই রাম রহিমের সঙ্গে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা। প্রিয়ঙ্কা থেকে তিনি পরিচিত হন হানিপ্রীত নামে। রাম রহিম-ই প্রিয়ঙ্কাকে ওই নাম দেন। ডেরা অনুগামীরা দাবি করেন, ‘বাবা’র কাছে শ্বশুরবাড়ির পণ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন হানিপ্রীত। তার পরই নাকি ২০০৯-এ হানিকে দত্তক নেন রাম রহিম। তখন থেকেই বাবা-র ছায়াসঙ্গী হানি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় হানি নিজেকে সমাজসেবী, নির্দেশক, পরিচালক এবং অভিনেত্রী হিসাবেও দাবি করেন। সংগৃহীত ছবি 

রাম রহিমের ছায়াসঙ্গী ছাড়াও হানির অন্য একটা পরিচয় আছে। ডেরা অনুগামীদের দাবি, হানি নাকি খুব প্রতিভাবান। খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোনও কিছু রপ্ত করে নিতে সিদ্ধহস্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় হানি নিজেকে সমাজসেবী, নির্দেশক, পরিচালক এবং অভিনেত্রী হিসাবেও দাবি করেন। মেয়ের গুণ দেখে ‘বাবা’ও আপ্লুত হয়েছিলেন। ডেরা-র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, রাম রহিম যখন হানিকে নির্দেশনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছিলেন, তখনই সিদ্ধান্ত নেন মেয়েকে তার একটি ছবি পরিচালনার কাজ দেবেন। আর দিয়েও ছিলেন। ‘মেসেঞ্জার অব গড: দ্য ওয়ারিয়র লায়ন হার্ট’ ছবিতে পরিচালনার কাজ করেন হানিপ্রীত। ২০১৫-য় ওই ছবিতে পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেন হানি।

 ডেরা অনুগামীদের দাবি, হানি নাকি খুব প্রতিভাবান। খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোনও কিছু রপ্ত করে নিতে সিদ্ধহস্ত। সংগৃহীত ছবি 

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাম রহিমকে যখন গ্রেফতার করে রোহতকে নিয়ে যাওয়া হয়, সে সময়ও হানিকে তার পাশেই দেখা যায়। ডেরা-র উত্তরসূরি নিয়েই তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে ‘বাবা’র সাজা ঘোষণার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন হানিপ্রীত ইনসান। তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে হরিয়ানা পুলিশ। বিমানবন্দর-সহ রাজ্য থেকে বেরনোর বিভিন্ন চেক পয়েন্টগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। গুরমিতের এই পালিত কন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, যে দিন পঞ্চকুলা আদালত রাম রহিমকে ধর্ষণ মামলায় দোষী প্রমাণিত করে, সে দিনই আদালত চত্বর থেকে তাকে নিয়ে পালানোর ছক কষেছিলেন হানিপ্রীত। 

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

প্রিয় সংবাদ/শান্ত