কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গরমে হিট স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম টেস্টে সাড়ে চার কেজি ওজন হারিয়েছেন হ্যান্ডসকম্ব!

সৌরভ মাহমুদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:১৩
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:১৩

(প্রিয়.কম) প্রচণ্ড গরমে চট্টগ্রাম টেস্টে হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান পিটার হ্যান্ডসকম্বকে। গরমে হিট স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। সে সময় খেলা থামিয়েই তাকে পরিচর্যা করতেও দেখা গেছে ডাক্তার ও সতীর্থদের। এর আগে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১৫২ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন ২৬ বছর বয়সী ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। 

সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে ১৮৫ মিনিট (তিন ঘণ্টা পাঁচ মিনিট) ব্যাট করেছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। এর মাঝে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে ১১৩ বল খেলে ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন হ্যান্ডসকম্ব। দ্বিতীয় দিন আড়াই ঘন্টা ব্যাট করে নাকি রাতারাতি ৪.৫ ওজন কমে গেছে বলে দাবি অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটসম্যানের। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পরই নাকি ধরা পড়ে এতটা ওজন কমে যাওয়ার ঘটনা।

সাকিব আল হাসানের বুলেট থ্রোতে রান আউটের শিকার হন ৮২ রান করা হ্যান্ডসকম্ব। ছবি: সংগৃহীত

সাকিব আল হাসানের বুলেট থ্রোতে রান আউটের শিকার হন ৮২ রান করা হ্যান্ডসকম্ব। ছবি: সংগৃহীত

এই অবস্থায় বুধবার, তৃতীয় দিনে, ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। ৮২ রান করে রান আউট হন। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন হ্যান্ডসকম্বকে দেখা যাচ্ছিল বারবার পানি এনে খেতে। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের কারণে অনেকবারই পানি পানের বিরতি দিতে হয়। এমনকি হ্যান্ডসকম্ব যখন ৬৪ রানে ব্যাট করছিলেন, তখন তাকে দেখা গিয়েছিল উইকেটের ওপর বসে পড়তে। পানি খাইয়ে ও সেবা শশ্রুষা করে তাকে আবার সুস্থ করে তোলা হয়। 

রোদের প্রখর তাপমাত্রার সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যধিক হওয়ায় প্রচণ্ড গরম সহ্যের সীমার বাইরে চলে গেছে চট্টগ্রামে। যে কারণে ক্রিকেটাররা বারবার হিট স্ট্রোকের মুখোমুখি হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতেও খেলে যেতে হচ্ছে তাদেরকে। বাংলাদেশের টার্নিং উইকেট আর ঘূর্ণি স্পিনের সঙ্গে প্রচণ্ড গরমও যে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের জন্য প্রতিপক্ষ- সেটা বোঝা গেল পিটার হ্যান্ডসকম্বের এই ঘটনায়।

যদিও কোচ ড্যারেন লেহম্যান হ্যান্ডসকম্বের ইনিংসকে বর্ণনা করলেন, দারুণ সাহসী হিসেবে। তার ভাষ্যমতে, ‘এখানে খুব গরম। রান করতে রীতিমতো কষ্ট করতে হচ্ছে।’ ম্যাচের পরে আইস বাথ নিয়ে তবেই সুস্থ হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। এই পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত ডিন জোনস তো মজা করে টুইট করেন, ‘এ বার স্যালাইনের জন্য লাইন আপ করতে হবে।’ ১৯৮৬তে চেন্নাইয়ে টেস্ট খেলার সময় ডিন জোন্স ডবল সেঞ্চুরি করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

প্রিয় স্পোর্টস/আশরাফ