কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হাবিবুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

‘সেবার আমরা জিততে পারিনি, এবার জিতলাম’

শান্ত মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৫৫
আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৫৫

(প্রিয়.কম) ২০০৬ সালেও এসেছিল সুযোগ। প্রথম ইনিংসেই লিড নেয়া বাংলাদেশ ৩০৭ রানের টার্গেট দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। জেগে উঠেছিল জয়ের আশা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের সেঞ্চুরিতে সেবার স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখা হয়নি। ১১ বছর পর সেই অস্ট্রেলিয়াই বাংলাদেশে। এবার আর ছেড়ে কথা নয়। প্রথম টেস্টে ব্যাটে-বলে ছড়ি ঘুরিয়ে ২০ রানের জয় তুলে নিয়েছে সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।

সেবার ফতুল্লায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিলো ৪২৭ রান। শাহরিয়ার নাফিসের অসাধারণ ১৩৮ রানের পাশাপাশি ৭৬ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেছিলেন অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। কিন্তু রান করার তৃপ্তি নিতে পারেনি সে যাত্রায়। এবার অনুজদের হাত ধরে দেখলেন অস্ট্রেলিয়া বধের দৃশ্য। স্বভাবতই সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে তৃপ্ত হাবিবুল বাশার।

আপনারা খুব কাছে গিয়েও জিততে পারেননি। এই জয়টা দেখতে পারাটা কতোটা তৃপ্তির? প্রিয়.কমকে বাশার বলেন, ‘তৃপ্তির তো অবশ্যই। টেস্ট ম্যাচ জেতার চেয়ে তৃপ্তির আর কিছু হতে পারে না। সেবার আমরা জিততে পারিনি এবার জিতলাম। সেবার মিস করেছিলাম, কিন্তু এবার মিস করি নাই। সবচেয়ে বড় বিষয় আমরা এখন টেস্ট ম্যাচ নিয়মিত জিতছি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য।’

টেস্টে শ্রীলঙ্কা এবং ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এবার সাকিব-তামিমদের শিকার অস্ট্রেলিয়া। তবে কি যে কোন দলকে হারাতে সক্ষম বাংলাদেশ? জাতীয় দলের এই নির্বাচক বলছেন, ‘না, এখনো নয়। টেস্ট ক্রিকেটে এটা বলা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। তবে আমরা টেস্ট ম্যাচ জেতা শুরু করেছি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টেস্ট ম্যাচ জয় সব সময়ই স্পেশাল। ওয়ানডেতে আমরা প্রমাণ করেছি। এবার টেস্ট ম্যাচেও আমরা জেতা শুরু করেছি।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক বলছেন শেষপর্যন্ত জয়ের স্পৃহা ধরে রাখার ব্যাপারটি। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট জানতে চাইলে বাশার বলেন, ‘পুরো ম্যাচটাই আমাদের এদিক-ওদিক ছিল আরকি। কখনো আমরা জিতেছি, কখনো অন্য কন্ডিশনে ওরা এগিয়ে থেকেছে। তবে আমার মনে হয় যে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জেতার স্পৃহা ধরে রাখার যে বিষয়টা ছিল সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’