কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সাতলার অনন্য বিলে অপূর্ব সুন্দর একটি মুহূর্ত। ছবি- রিপন

সাতলার শাপলা বিলে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ পথ কোনটি

আফসানা সুমী
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:২০
আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:২০

(প্রিয়.কম) শাপলা বিল ভ্রমণে যাবেন, কিন্তু ভাবছেন কোন পথটি সবচেয়ে সহজ হবে? আপনার জন্য জানিয়ে দিচ্ছি বরিশালের সাতলা গ্রামের অনন্য সুন্দর শাপলা বিলগুলো ভ্রমণের রুটগুলো। বেছে নিন আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ পথটি। 

প্রথম রুট-

ঢাকা থেকে প্রথমেই লঞ্চে বরিশাল। বরিশাল লঞ্চ ঘাট পৌঁছে এবার যেতে পারেন ২ ভাবে। বাসে অথবা মাহিন্দ্রায়। বাসে গেলে অটোতে চলে যান নথুল্লাহবাদ বাস স্ট্যান্ড। সময় লাগবে ২ ঘন্টা। ভাড়া জনপ্রতি ৯০ টাকা। আর মাহিন্দ্রায় গেলে আপনার রুট ২টি-

১। শানুহার-ঈদগাহ-ধামুড়া-কারফা বাজার-সৌদি মার্কেট হয়ে সাতলা। এই রাস্তা খুবই খারাপ, সময় এবং শ্রম দুই-ই বেশি যাবে। অন্তত ৩ ঘন্টা লাগবে সাতলা পৌঁছতে।

২। ইচলাদি-উজিরপুর-ডাবেরকুল-ওটরা-সাতছতে।এই রাস্তাটি নতুন এবং সুন্দর। এই পথে খুব দ্রুতই চলে যেতে পারবেন আপনি। ৫০ মিনিটের মতো সময় লাগবে।

শাপলা বিল
এমন একটি বিলে প্রকৃতির অংশ হতে কার না মন চায়? ছবি- রিপন

ভোরে বরিশাল পৌঁছে বাস পাওয়া দুস্কর। আবার দ্রুত সাতলায় যেতে না পারলে ফুটন্ত শাপলার হাসিমুখগুলো মিস হয়ে যাবে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় মাহিন্দ্রায় গেলে। আর এজন্য দলটি বড় হওয়া প্রয়োজন। একটি মাহিন্দ্রার ৬-৮ জন ওঠা যায়। ভাড়া নেবে ১২০০ থেকে ২৫০০ টাকা (যাওয়া এবং আসা)। কোন রুট ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করবে।

সাতলা বাজারে পৌঁছে আপনাকে ছোট একটি জলপথ পার হতে হবে নৌকায়। এরপর ভ্যানে করে চলে যাবেন বিলে।

২য় রুট- 

ঢাকা থেকে বরিশালের লঞ্চে না উঠে আপনি উঠুন পয়সারহাট বা আগৈলঝরার লঞ্চে। বরিশালের ১০ উপজেলার একটি আগৈলঝরা। এখান থেকে ভ্যানে চলে আসুন সাতলা।

আনমনা একটি শাপলাময় সময়। ছবি- রিপন

৩য় রুট-

এবার আর বরিশাল নয়। ঢাকা থেকে বাসে চলে যান গোপালগঞ্জ। বাস ভাড়া ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা। এখান থেকে অটোতে সাতলা গ্রাম। 

সারা দেশেই জনপ্রিয় সাতলা বিলের শাপলার লাল গালিচায় পা রাখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখানে আসছেন। এখন সুবিধাজনক বড় আকারের নৌকাও পাবেন। এক নৌকায় ৫ থেকে ৬ জন ওঠা যায়। ভাড়া নিবে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। এই ঋতুতে এটাই মাঝিদের মূল আয়।

তাহলে আর দেরী কেন? ঘুরে আসুন বিখ্যাত এই বিল থেকে। জমা করুন রঙ্গিন কিছু স্মৃতি আপনার ভ্রমণ এলবামে। 

 

সম্পাদনা: ড. জিনিয়া রহমান।

ভ্রমণ সম্পর্কিত আরও জানতে চোখ রাখুন আমাদের প্রিয় ট্রাভেলের ফেসবুক পাতায়। ভ্রমণ নিয়ে আপনার যেকোনো অভিজ্ঞতা, টিপস কিংবা লেখা পোস্ট করুন আমাদের সাইটে । আপনাদের মতামত জানাতে ই-মেইল করতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়।