কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ব্যাট করছেন ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ছবি: প্রিয়.কম

অবশেষে গেইল-ম্যাককালামের ব্যাটে ঝড়

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৫৫
আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৫৫

(প্রিয়.কম) শনিবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। কিন্তু এদিন দর্শকদের মন ভরাতে পারেননি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই দুই মহাতারকা। কুমিল্লার বিপক্ষে তাদের উদ্বোধনী জুটি স্থায়ী হয়েছিল ২৬ বল পর্যন্ত।

সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে গেইল ও ম্যাককালাম জুটির স্থায়ীত্বকাল ছিল ৫২ বল পর্যন্ত। এসময়ই ব্যাট হাতে ঝড় তুলে স্কোরকার্ডে ৮০ রান যোগ করেন তারা। তাতে দলও পেয়েছে লড়াকু সংগ্রহ। নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে স্কোরকার্ডে ১৬৯ রান যোগ করেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার রংপুর রাইডার্স।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে শুভসূচনা এনে ম্যাককালাম ও গেইল। ম্যাককালামকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন নাসির হোসেন। ২১ বলে তিন চার এবং তিন ছয়ে ৩৩ রান করে লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটের তালুবন্দী হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর আট রানের ব্যবধানে গেইলকে সরাসরি বোল্ড করেন আবুল হাসান রাজু। আউট হওয়ার আগেই ৩৮ বলে দুই চার ও পাঁচ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন মোহাম্মদ মিথুন ও শাহরিয়ার নাফিস। কিন্তু আট রানে নাফিসকে আন্দ্রে ফ্লেচারের তালুবন্দী করে তাদের জুটি বড় হতে দেননি আবুল হাসান। এর ২৪ রানের ব্যবধানে ফিরে যান যান মিথুন। ২১ বলে দুই চারে ২৫ রান করা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউ'র ফাঁদে ফেলেন লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট।

আট বলের ব্যবধানে টিম ব্রেসনানের বলে সাব্বির রহমানের তালুবন্দী হন থিসারা পেরেরা। আউট হওয়ার আগে ১২ বলে দুই চারে ১৫ রান করেন এই লঙ্কান অলরাউন্ডার। ১২ বলে তিন চার ও এক ছয়ে ২৮ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ইলিংশ অলরাউন্ডার রবি বোপারা। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও রান আউটের ফাঁদে পড়েন। তার আগে দুই বলে তিন রান আসে তার ব্যাট থেকে।

পাঁচ বলের মোকাবেলায় মাত্র এক রান করেন জিয়াউর রহমান। সোহাগ গাজী অপরাজিত থাকেন শূন্য রানে। সিলেটের পক্ষে সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট নেন আবুল হাসান রাজু। একটি করে উইকেট নেন নাসির হোসেন, টিম ব্রেসনান ও লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট।