ছবি সংগৃহীত
টার্কিতে আসবে বৈদেশিক মুদ্রা - দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ
আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭, ২২:১০
সংগৃহীত ছবি
(প্রিয়.কম) খুলনা মহানগরীর বাগমারা এলাকার মোহাম্মদ নাদিম কর্মসংস্থানের জন্য কখনও চাকরির পেছনে ঘোরেননি। ৪০ বছর বয়সী এ যুবক গ্রাজুয়েশন করেছেন দেড় যুগ আগে। টিউশনি দিয়েই কর্মজীবনের শুরু। এখন টার্কির খামারি। স্বপ্ন দেখছেন খুলনায় পোলট্রির পরিবর্তে উত্তর আমেরিকার টার্কিকে জনপ্রিয় করে তোলার। পাশাপাশি মাংসের চাহিদা মেটাতে টার্কি পালনে অন্য খামারিদের উৎসাহিত করছেন তিনি। শিগগিরই খুলনায় উৎপাদিত টার্কি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা নাদিমের।
৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশে ‘টার্কিতে আসবে বৈদেশিক মুদ্রা’ শিরোনামে প্রকাশিত এক সংবাদে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন টিউশনির মাধ্যমে কর্মজীবনের সূচনা হয় নাদিমের। মাসে আয়ের পরিমাণ ছিল সাড়ে ৭০০ টাকা। ২০০১ সালে বাগমারার বাসায় ৫০টি কোয়েল পালনের মাধ্যমে নতুন পেশা শুরু করেন। ওই সময়ে এক মাস বয়সী প্রতিটি কোয়েলের মূল্য ছিল ৬২ টাকা। ১২ মাস লালনপালনের মধ্য দিয়ে আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৮০০ টাকা। পর্যায়ক্রমে তার খামারে কোয়েলের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই হাজার। এরপরই নতুন স্বপ্ন নিয়ে ঠাকুরগাঁ পৌরসভার তেলিপাড়ায় গড়ে তুলেছেন টার্কি উন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রজাতির মুরগির উৎপত্তিস্থল উত্তর আমেরিকা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নাতিশীতষ্ণ আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে এ প্রজাতি। ঠাকুরগাঁয়ের প্রকল্পে ১০০ টার্কি লালনপালন করছেন নাদিম। প্রতি মাসে ডিম উৎপাদন হচ্ছে আনুমানিক ৪০০। নাদিম জানান, তিন দিন বয়সী জোড়া টার্কির বাচ্চার মূল্য ১ হাজার ২০০ টাকা। ঠাকুরগাঁয়ে উৎপাদিত টার্কির বাচ্চা খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের খামারগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি। পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও ভ্যাক্সিনমুক্ত মাংস সরবরাহ করা।
নাদিম জানান, একদিন বয়সী বাচ্চা খামারে আনার পর স্বল্প পরিসরে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৈদ্যুতিক তাপ দিতে হয় গড়ে ১০ দিন। ছয় মাস বয়সের পর টার্কি ডিম দিতে শুরু করে। আট মাস পর গড়ে ওজন দাঁড়ায় কমপক্ষে ৭ কেজি। ছয় মাস পর্যন্ত একটি টার্কি লালনপালন খরচ ৬০০ টাকা। আট মাস পর মূল্য দাঁড়ায় আনুমানিক ৫ হাজার টাকা। টার্কির খাবার ঘাস, লতাপাতা, সবুজ শাকসবজি, ভাত, উচ্ছিষ্ট ও মুরগির স্টাটার ফিড। নাদিমের স্বপ্ন ২ বছরের মধ্যে স্থানীয় খামারগুলোতে টার্কি সরবরাহ করবে। তার শহরতলির সাচিবুনিয়া খামারে বসবে ইনকিউবেটর মেশিন। এ মেশিন থেকে প্রতি মাসে ২২ হাজার বাচ্চা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। নাদিম জানান, ১০০ টার্কির খামার থেকে মাসে লাখ টাকা আয় সম্ভব।
প্রিয় সংবাদ/মেহেদী