কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলে প্রয়োজন সঠিক নিয়মের। ছবি: নূর।

মাইগ্রেনের ব্যথা রোধে জরুরি যে খাদ্যগুলো

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:০৬
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:০৬

(প্রিয়.কম) যদি আপনার মাথার একপাশে ধাক্কা দেবার মতো অথবা কম্পনের মতো ব্যথাভাব দেখা দেয় এবং একই সাথে বমিভাব, আলো সহ্য করতে না পারার সমস্যা দেখা দেয় তবে বুঝতে হবে আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে। মাথাব্যথার বিভিন্ন ধরণের মাঝে মাইগ্রেন অন্যতম। মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা দেখা দেয় হরমোনের সমস্যা, কিছু বিশেষ খাদ্য ও মানসিক চাপের জন্য। তবে ক্ষেত্র বিশেষে মাইগ্রেনের সমস্যা বংশগতও হতে পারে।

যে কারণেই মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিক না কেন, এটা খুবই কষ্টকর একটি শারীরিক সমস্যা। শুধুমাত্র ভুক্তভোগীই বুঝতে পারেন, মাইগ্রেনের ফলে কী অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়! সাধারণত মাইগ্রেনের সমস্যা পেইনকিলার গ্রহণে কমে যায়। তবে প্রতিবার মাইগ্রেন অ্যাটাকের সাথে সাথে দেখা দেয় বেশ কিছু শারীরিক সমস্যাও। যে কারণে প্রাথমিকভাবেই চেষ্টা করা প্রয়োজন প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান গ্রহণের মাধ্যমে মাইগ্রেনের প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্য।

নিজের জীবন-যাপনের ধরণ, খাদ্যাভাসের ধরণ বদলালে এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেওয়ার হার কমে যায় অনেকটা। একইসাথে এমন কিছু খাদ্য উপাদান রয়েছে, যা মাইগ্রেনের সমস্যাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে থাকে। এখানে তেমন কিছু খাদ্য উপাদানের নাম তুলে ধরা হলো।  

কাঠবাদাম

বাদামের মাঝে কাঠবাদাম হলো অন্যতম উপকারী বাদাম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, ম্যাগনেসিয়াম, উচ্চমাত্রায় ট্রিপ্টোফ্যান এবং সেরোটোনিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড। এক মুঠো পরিমাণ কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে রক্তনালীকা এবং পেশী স্থিতিশীল হয়। যার ফলে মাইগ্রেনের ব্যথায় অনেকটা আরামবোধ হয়ে থাকে।

কলা

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই সকল খাদ্য উপাদান থাকার ফলে কলা গ্রহণে মাইগ্রেনের সমস্যা অনেকটা কমে যায়। কলা রক্তনালিকাকে প্রশস্ত করে থাকে। যার ফলে মাইগ্রেনের ব্যথা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক কলা খেলে আরাম বোধ হয়। প্রতিদিন ছোট একটি পাকা কলা খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা কম দেখা দেবে।

দই

শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে দই রাখলে শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেবে না।

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা

জানেন কি, ডিহাইড্রেশন হলো অন্যতম একটি প্রধান কারণ মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেওয়ার? শরীরে যখন পানি শূন্যতা দেখা দেয় তখন শরীরে বেশ কিছু কার্যকলাপের উপরেও তার প্রভাব পড়ে। শরীর তার প্রয়োজনীয় পানি না পেলে মাইগ্রেনের সমস্যা তৈরি করে। যে কারণে, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন।

ক্যাফেইন

মাথাব্যথার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেই এক কাপ গরম চা পান ব্যথাকে অনেকটা কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। চায়ে থাকে ক্যাফেইন রক্তনালীকা প্রশস্ত করতে, প্রদাহ কমাতে এবং মাইগ্রেনজনিত কারণে মাথাব্যথা কমাতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে।

পালংশাক

সবুজ যেকোন ধরণের শাকের মাঝে পালং শাক হলো সবচাইতে স্বাস্থ্যকর ও উপকারী। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি-২। যা মাইগ্রেনের জন্য তৈরি মাথাব্যথা কমাতে কাজ করে। রান্না করে অথবা সালাদের সাথে কাঁচা পালং পাতা খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।

তেলযুক্ত মাছ

তেলযুক্ত যেকোন ধরণের মাছেই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ। এই ধরণের মাছ প্রদাহ কমাতে এবং মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে কাজ করে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে তেলযুক্ত মাছ যোগ করলে মাইগ্রেনের প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কমে যায়।

আদা

প্রদাহ বিরোধী উপাদান হিসেবে আদা দারুণ জনপ্রিয় একটি প্রাকৃতিক উপাদান। বিশেষত বমিভাব ও মাইগ্রেনজনিত সমস্যা প্রতিরোধে আদা কার্যকরি একটি উপাদান। যখনই সাধারণ মাথাব্যথা অথবা মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথার প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে, এক কাপ পরিমাণ গরম আদা চা পান করে নিতে হবে।

গাজর

গাজরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং বেটা-ক্যারোটিন। এই দুইটি চমৎকার পুষ্টিগুণের জন্যে গাজরকে মাইগ্রেনের সমস্যা কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরি খাদ্য উপাদান হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। প্রতিদিন দুইটি করে কাঁচা গাজর অথবা এক গ্লাস পরিমাণ গাজরের রস পান করার ফলে মাইগ্রেনের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

সূত্র: Boldsky

প্রিয় লাইফ/ আর বি