কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মানিকগঞ্জে বন্যার মধ্যে স্কুলের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জে বন্যার মধ্যে স্কুলের পরীক্ষা!

মো. সুমন হোসেন
কন্ট্রিবিউটর, মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০১৭, ১৫:০১
আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৭, ১৫:০১

(প্রিয়.কম) মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার অক্সফোর্ড একাডেমির প্রাঙ্গন ও যাতায়াতের রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। স্কুলের মধ্যেও পানি প্রবেশ করার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ১৯ আগস্ট শনিবার স্কুল খোলা রেখে দ্বিতীয় পর্ব পরীক্ষা নিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। ফলে দুর্ভোগ হলেও শনিবার সকালে পানিতে কাপড় ভিজিয়ে স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। অনেকের বাড়ি- ঘরে পানি প্রবেশ করায় সংসারের স্বাভাবিক কাজকর্মই ব্যহত হচ্ছে। যাতায়াতের গ্রামীণ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়ি থেকে বের হলেই পানি আর পানি। এমতাবস্থায় স্কুলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন অভিভাবকেরা।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। দৌলতপুর, ঘিওর, শিবালয়, হরিরামপুর, সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বন্যাকবলিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা ও ক্লাস বন্ধ রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া আজ শনিবার ১৯ আগস্ট থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু বন্যার কারণে ছয়টি উপজেলার ৫শ’ ৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এসব স্কুলে।

Flood-in-manikgonj

বন্যার কারণে সরকারি স্কুলগুলো বন্ধ থাকলেও শিবালয় অক্সফোর্ড একাডেমীতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বন্যার কারণে সরকারি স্কুলগুলো বন্ধ থাকলেও, দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শিবালয় অক্সফোর্ড একাডেমীতে। এতে অনেক কষ্টে শনিবার সকালে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বাধ্য হয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থীর বাড়ি-ঘরে পানি উঠায় তারা অন্যত্র চলে গেছে। এতে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রবিউল হাসান রাব্বি কৃষ্ণপুর তার খালার বাসায় থেকে পড়াশোনা করে। বন্যার কারণে সে মানিকগঞ্জ মুলজান তাদের বাড়িতে চলে যায়। সে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ওই স্কুলের শিক্ষার্থীর বাবা জাহাঙ্গীর ভুইয়া ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমার মেয়ে অক্সফোর্ড একাডেমীর চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। বন্যায় বাড়িতে পানি ওঠায় বাচ্চাদেরকে ঘিওর তাদের নানা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। ফলে আমার মেয়ে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা দিতে পারছে না। কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো কীভাবে সরকারি নিয়মের বাইরে চলে এটাই আমার জিজ্ঞাসা? এভাবে অনেক অভিভাবকই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

অক্সফোর্ড একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুল মতিন খান বলেন, শুক্রবারও বিদ্যালয়ের রাস্তা যাতাযাতের উপযোগী ছিল। হঠাৎ করে এত পানি হবে এটা বুঝতে পারিনি। বন্যার কারণে আজ শনিবার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। পানি কমে স্বাভাবিক হলে আবার যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসী বলেন, বন্যার কারণে জেলার ছয়টি উপজেলার ৫শ’৪৫টি স্কুলের ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে।

১৯ আগস্ট আজ (শনিবার) থেকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্ত বন্যার কারণে তা স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে না। ওরা ওদের মতো করে চলে। তিনি আরও বলেন,তাদের এ ব্যাপারে কিছুই করার নেই।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল