কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু। ছবি: ফোকাস বাংলা

মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের শুরু

আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:৫০
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:৫০

(প্রিয়.কম) মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে সত্য-সুন্দর প্রতিষ্ঠায় মাতৃত্ব ও শক্তির প্রতীক দেবী দুর্গাকে মহালয়ায় মর্ত্যে আহবান জানানো হয়েছে।

দেবী দুর্গাকে মহালয়ায় মর্ত্যে আহবান জানানোর জন্য বন্দনার আয়োজনকে মহালয়া বলা হয়। মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন মণ্ডপে-মণ্ডপে চণ্ডীপাঠ, মঙ্গলঘট স্থাপন, ভক্তিমূলক গান, নাচ, ঢাক-কাঁসা ও শঙ্খ বাজিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। 

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ভোর ৬টায় মহালয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুরুতেই ছিল ত্রিভঙ্গচরণ ব্রহ্মচারীর চণ্ডীপাঠের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে ইয়াচণ্ডী অর্চনা। এরপর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দ্বিতীয় পর্বে ছিল মহালয়ার মূল আচার-অনুষ্ঠান।

দুপুর ১২টায় ঘট স্থাপনের পর নানা স্তব-স্তুতিতে দেবীকে মর্তে আহবান জানানো হয়। সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ার প্রাক সন্ধ্যায় অর্থাৎ শুক্লপক্ষের চতুর্দশীতে কাত্যায়নী মুনির কন্যা রূপে মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে।

শারদীয় দুর্গা উৎসবকে অকালবোধনও বলা হয়। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হয় দেবী পক্ষের। পিতৃপক্ষে ভক্তরা তাদের পূর্বপূরুষের আত্মার প্রীতির জন্য অন্ন-জল নিবেদন করে থাকেন। শাস্ত্রে একে বলা হয় তর্পণ। মহালয়ার পর থেকে ১৫ দিন হচ্ছে দেবীপক্ষ। 

২৬ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীতে দুর্গার বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে মূল পূজা। ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে দুর্গোৎসব শেষ হবে।

প্রিয় সংবাদ/শিরিন