অস্ত্র সজ্জিত সঙ্গীদের মাঝে বসে আছেন ‘রোহিঙ্গা অধিকার আদায়ের সংগঠন’ এআরএসএ প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি। ছবি: সংগৃহীত
রোহিঙ্গা ‘অধিকার আদায়ের সংগঠন’ আরসাকে নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৩২
(প্রিয়.কম) রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা-‘জাতিগত নিধন’ চালানোর কারণে সারাবিশ্ব যখন সমালোচনা করছে ঠিক সেই সময়ে রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে গঠিত সশস্ত্র সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে (আরসা)’ কে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়ে তা তাদেরকের নিষিদ্ধ করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। একই সাথে বিদ্রোহীদের ‘প্রশংসাসূচক’ সকল বিষয়বস্তু মুছে ফেলতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিকে নিষিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুকের মুখপাত্র বলেন, সংগঠনটিকে ‘বিপজ্জনক’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যেসব সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত, গণহত্যা, সহিংসতা, বা মানুষের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানোর মতো অপরাধে যুক্ত এবং এসব কাজ সমর্থন করে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সেসব পোস্ট নিষিদ্ধ করে।
এর আগে কিছু মানবাধিকার কর্মী অভিযোগ করছিলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতার চিত্র প্রকাশ করে এমন পোস্ট ও লেখা সেন্সর করছে ফেসবুক। এর কয়েকদিন পরেই ফেসবুক এই ঘোষণা দিল।
এদিকে আরসা ছাড়াও আর কোনো পক্ষ কি রয়েছে যাদের কারণে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে? এ প্রশ্নের কোন জবাব দেননি ফেসবুক মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে যে ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে, তা ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদি উদাহারণ’। দেশটির সেনাবাহিনীরও একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ আছে, যার ফলোয়ার ২৬ লাখ। এছাড়া মিয়ানমার সরকারের আরও অনেক ফেসবুক পেজ রয়েছে যেখানে দেশটির রাষ্ট্রীয় পরামর্শক অং সান সু চি এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা বিরোধী ঘৃণা উস্কে নিয়মিত পোস্ট দিচ্ছে।
প্রিয় সংবাদ/শান্ত