কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাদি হারিরি। সংগৃহীত ছবি

লেবাননের স্বাধীনতা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সব ব্যাখ্যা করবেন হারিরি

জাহিদুল ইসলাম জন
জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:১৯
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:১৯

(প্রিয়.কম) আগামী ২২ নভেম্বর বুধবার লেবাননের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন দেশটির আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। আর ওই অনুষ্ঠানেই তার পদত্যাগ নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশার ব্যাখ্যা দেবেন বলে জানিয়েছেন হারিরি। ১৯৪৩ সালে ফ্রান্সের উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা পায় লেবানন

শনিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এলিসি প্রাসাদে দুপুরের খাবারের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তিনি এ তথ্য জানান।

সাদ হারিরি পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার আগে লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান। সাংবাদিকেদের উদ্দেশে হারিরি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছি। আর তা নিয়ে পরবর্তী আলাপ লেবাননেই করব।’

সৌদি আরব সফরে গিয়ে গত ৪ নভেম্বর আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সাদ হারিরি। নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় থাকার কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। দেশের বাইরে থেকে ঘোষণা দেওয়ায় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান লেবাননের প্রেসিডেন্ট আউন। বলেন, এতে লেবাননের গণতন্ত্র সঙ্কটের মুখে পড়বে। অবশ্য হারিরি শিবির থেকে বলা হয়, সৌদি যুবরাজের সঙ্গে ফলপ্রসূ আর গঠনমূলক আলাপের পরই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

এই ঘোষণার পরপরই খানিকটা লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান সাদ হারিরি। সেসময় রিয়াদের বিরুদ্ধে তাকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠলে সৌদি আরব তা নাকচ করে দিয়েছে। আর এর মধ্যেই আবুধাবিতে গিয়ে সেখান থেকে অনির্ধারিত সফরে সৌদি আরবে যান লেবাননের দীর্ঘদিনের মিত্র ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।

গত ১৭ নভেম্বর শুক্রবার সৌদি আরব ছেড়ে প্যারিসে রওনা হওয়ার আগে এক টুইটার পোস্টে অবশ্য সাদ হারিরি বলেছেন, ‘সৌদি আরবে আমাকে আটকে রাখা বা সেদেশ ছাড়তে বাধা দেওয়ার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

শনিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যঁক্রোর সঙ্গে দুপুরের খাবারের অনুষ্ঠানে সাদ হারিরির সঙ্গে যোগ দেন তার স্ত্রী ও বড় ছেলে হুসাম। সৌদি আরবে বসবাসরত তার দুই সন্তানের স্কুলে পরীক্ষা থাকায় এলিসি প্রাসাদের ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন না তারা।

অনুষ্ঠান শেষে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে জানানো হয়, লেবাননের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখবেন তাদের প্রেসিডেন্ট। সাদ হারিরির পদত্যাগের বিষয়টি ম্যাঁক্রোর কাছে নিশ্চিত করা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাব দেওয়া না হলেও আশ্বস্ত করা হয়, ওই অঞ্চলের উত্তেজনা নিরসনে কাজ করছেন তারা।

ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর দফতর থেকে আরও জানানো হয়, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ সেরেছেন প্রেসিডেন্ট।

সাদ হারিরির সৌদি নাগরিকত্বও রয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালে দেশটির সমর্থনও পেতেন তিনি। নিজ দেশের অস্থিতিশীলতার জন্য সৌদি আরবের প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান, আর তাদের সমর্থিত লেবাননের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দায়ী করেন হারিরি।

সাদ হারিরির পদত্যাগের ঘোষণার পর দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের নামে সৌদি আরবের দুইশোর বেশি রাজপুত্র, মন্ত্রী আর ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আর এ সব নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত