৪৩০ বছর আগে আরবানো মন্টে হাতে এঁকেছিলেন এই ম্যাপ। ছবি: IFLScience
প্রাচীন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যাপে আছে মৎস্যকন্যা ও ইউনিকর্ন! (দেখুন ছবিতে)
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:৪৮
(প্রিয়.কম) গোল পৃথিবীর অনেক পুরনো একটি ম্যাপ সম্প্রতি মেরামত করে তুলতে সক্ষম হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ, মহাসাগরের পাশাপাশি দেখা যায় কিছু কাল্পনিক জীব-জন্তের উপস্থিতি।
ভেনেজুয়েলার সাগরতীরে জাহাজ আক্রমণ করছে এক মৎস্যমানব। ছবি: IFLScience
৪৩০ বছর আগে আরবানো মন্টে হাতে এঁকেছিলেন এই ম্যাপ। সংগ্রাহক ডেভিড রামসে এবং তার ভাগনে মিলে ৬০টি পৃষ্ঠা স্ক্যান করে ডিজিটালি জোড়া দিয়েছেন। এরপর দেখা গেছে এই ম্যাপের আসল রূপ।
সাইবেরিয়ার ম্যাপের ওপর দেখা যায় ইউনিকর্ন, পিশাচ এবং গিরগিটি মানব। ছবি: IFLScience
আরবানো মন্টে নামের এই ১৬শ শতকের কার্টোগ্রাফারের ব্যাপারে খুব বেশী কিছু জানা যায় না। কিন্তু তখন মানুষ পৃথিবীর ব্যাপারে কেমন চিন্তা করতেন তা জানা যায় এই ম্যাপ থেকে। ওপর থেকে দেখলে এই ম্যাপটি গোল, তার কারণ মন্টে পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে সবাইকে জ্ঞান দিতে চেয়েছিলেন। দ্বিমাত্রিক কাগজে কীভাবে সবচাইতে ভালো উপায়ে ত্রিমাত্রিক পৃথিবী বোঝানো যায়, সেটাই করতে চেয়েছিলেন তিনি।
জাপানের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারে বেশ বিশদ তথ্য আছে এই ম্যাপে। ছবি: IFLScience
ইতালির মিলান শহরে ১৫৮৭ সালে তৈরি হয় এই ম্যাপ। সে সময়ের জন্য আশ্চর্য রকমের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় এই ম্যাপ থেকে। পৃথিবীর ব্যাপারে অনেক খুঁটিনাটি তথ্য আছে এতে। তখনকার ম্যাপগুলো সাধারণত এভাবে তৈরি হত না। মন্টের আঁকা এই ম্যাপে জাপানের ব্যাপারেও অনেক বেশী তথ্য দেখা যায়। এর কারণ সম্ভবত জাপান থেকে ১৫৮৫ সালে কিছু প্রতিনিধি মিলানে এসেছিলেন এবং তাদের সাথে দেখা করেছিলেন মন্টে।
আফ্রিকা এবং উত্তর আমেরিকাকে চ্যাপ্টা দেখায়। ছবি: IFLScience
অনেক ভালো তথ্য পাওয়া গেলেও কিছু কিছু কুসংস্কার এতে দেখা যায় বটে। যেমন ইউনিকর্নের উপস্থিতি বা মৎস্যকন্যাদের আক্রমণে জাহাজ ডুবে যাওয়া। এছাড়া ম্যাপের কিছু কিছু জায়গায় অসঙ্গতি দেখা যায়। যেমন অ্যান্টার্কটিকা খুব ভালো বোঝা যাচ্ছে। আবার আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকাকে বেশী প্রশস্ত মনে হচ্ছে।
সূত্র: IFLScience
প্রিয় লাইফ। আর বি